ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

টপটেন থেকে টপসেভেন

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১০

এবারের লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার ইভেন্ট এখন পৌঁছে গেছে নবম রাউন্ডে। সেরা দশ প্রতিযোগী নিয়ে ১৭ ডিসেম্বর রাত রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে চ্যানেল আই-এ প্রচারিত হবে লাক্স চ্যানেলআই সুপারস্টার ২০১০-এর নবম পর্ব।

গতপর্বে মেয়েদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিলো, লাক্সের টিভি বিজ্ঞাপনে পারফর্ম করা। প্রতিযোগীদের বলা হয়েছিল, বিশ্বের বড় বড় লাক্স তারকার মতো করে সৌন্দর্য আর আভিজাত্য নিয়ে লাক্সের টিভি বিজ্ঞাপনে এক্সপ্রেশন দিতে। তাদের পারফর্মেন্স বিচার করে গতপর্বে বিচারকরা যে মার্কিং করেছিলেন আর সারা দেশ থেকে মেয়েরা যে পরিমাণ ভোট পেয়েছে সব মিলিয়ে এ পর্বে জানা যাবে রেজাল্ট।

সেরা দশ থেকে সেরা সাত প্রতিযোগী নির্ধারণ করা হবে এই পর্বে। দেখা যাবে কারা চলে যাচ্ছেন লাক্স ছেড়ে আর কারা পৌছে গেছেন টপসেভেনে।

অনুষ্ঠানের এই পর্বে বিশেষ অতিথি হয়ে আসছেন মেহরিন। স্বতঃস্ফূর্ত পারফমেন্স নিয়ে স্টেজ মাতিয়ে তুলতে দেখা যাবে।

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার টপটেন

দিপালী

সিলেটের মেয়ে দিপালী। চার বোন আর এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট আর সবচেয়ে আদরের সে। সিলেট সরকারি অগ্রগামী স্কুল থেকে এসএসসি আর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে এখন এমসি কলেজে মনোবিজ্ঞানে পড়াশোনা করছে। নিজের পরিবার আর বন্ধুদের প্রতি অনেক তার ভালোবাসা। তার স্বপ্ন সে একদিন অনেক বড় মডেল হবে।

রাখি

সবকিছু খুব ইতিবাচকভাবে দেখতে পছন্দ করে রাখি। ও লেভেলে পড়ছে। পরিবারের সবার ছোট মেয়ে। ধূসর আর ছাই বাদে সব রং পছন্দ তার। পড়াশোনার পাশাপাশি মডেলিংও করতে চায়।

মাশিয়াত

অনেক স্বপ্ন নিয়ে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টারে এসেছে ঢাকার মেয়ে মাশিয়াত। নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী মাশিয়াত খুব গোছালো স্বভাবের। নিয়মের বাইরে যায় না এতটুকু। পছন্দের রং লাল, কালো আর সাদা। ল্েযর দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেকে ঠিকমতো গড়ে তুলছে। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারে তার আসার কারণ এখানে যোগ্যতা থাকলে একটি মেয়ে নিজেকে মিডিয়া জগতে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।

রমা

নিজেকে পরিপূর্ণ একজন মানুষ করে গড়ে তোলাই প্রথম এবং প্রধান ল্য রমা’র। এবছরই এইচএসসি শেষ হল তার। ছোটবেলা থেকে আট বছর দার্জিলিংয়ের পড়াশোনা করেছে। তখন থেকেই সে জানে জীবনে একজন ভালো মানুষ হয়ে ওঠাটা অনেক গুর“ত্বপূর্ণ। তাই, শুধু বাইরের সৌন্দর্যই নয়, ভেতরের সৌন্দর্য নিয়েও অনেক সচেতন সে। রমার প্রিয় রং ময়ূর নীল, গোলাপি এবং লাল। তার স্বপ্ন একজন সফল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন বড় মানুষ হওয়া।

টয়া

নিজেকে খুব সুখী মানুষ বলে মনে করে টয়া কারণ তাকে তার পরিবারের সবাই খুব ভালোবাসে। বিবিএ ২য় বর্ষের ছাত্রী টয়া সবসময় হাসিখুশি থাকতে পছন্দ করে। অবসর সময় কাটায় গান শুনে, মুভি দেখে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে এবং ঘুরে বেড়াতে। প্রিয় রং সবুজ আর অপ্রিয় রং হলুদ। ভবিষ্যতে টয়া একজন সফল মডেল ও অভিনেত্রী হতে চায়।

নীরা

নীরার জš§ নরসিংদী জেলায়, সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। পাঁচ বোন আর এক ভাইয়ের মধ্যে সে চতুর্থ। এখন সে নৃ-তত্ত্ববিজ্ঞানে মাস্টার্স করছে শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। প্রিয় রং কালো আর সাদা। ড. মোঃ জাফর ইকবাল তার অত্যন্ত পছন্দের একজন ব্যক্তিত্ব। নীরা খুবই আবেগপ্রবণ একটি মেয়ে। সে সবসময় হাসিখুশি থাকতে পছন্দ করে। নীরার স্বপ্ন সে একজন বড় মডেল হবে।

সোহানী

বাবা-মা’র একমাত্র আদরের মেয়ে সোহানী এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তার প্রিয় রং নীল আর কালো। তার স্বপ্ন সে ভবিষ্যতে খুব ভালো মডেল আর অভিনয় শিল্পী হবে। সে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চায়।

অরিন

মা, বাবা, ভাই আর অরিনÑ এ চার সদস্য নিয়ে অরিনের ছোট্ট পরিবার। সে এখন ফার্মাসি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। অরিন বিশ্বাস করে জীবনটা অনেক ছোট পরিসরে বাধা কিš‘ এর তাৎপর্য অনেক বিশাল। অরিন চায় জীবনের প্রতিটি ধাপে নিজেকে অনেক উজ্জ্বল করে তুলতে। সে চায় একজন সাধারণ মেয়ে থেকে নিজের যোগ্যতা দিয়ে অসাধারণ হয়ে উঠতে যাতে মানুষের ভালোবাসা তার সঙ্গী হয় সবসময়।

মৌসুমী

খুলনার মেয়ে মৌসুমী। সে এখন খুলনা আজম খান কমার্স কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তার প্রিয় রং নীল আর প্রিয় পোশাক শাড়ি। মিডিয়া জগৎ মৌসুমীর খুব পছন্দ। তাই এখানে জায়গা করে নেয়ার জন্যও একজন ভালো মডেল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সে লাক্স-এর প্লাটফর্ম বেছে নিয়েছে। সে আশা করে, সে অনেক ভালো করবে এবং এখান থেকেই সে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।

নিশা

ঢাকার মেয়ে নিশা। এলএলবি পড়ছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রিয় লেখক হূমায়ুন আহমেদ এবং মোঃ জাফর ইকবাল। প্রিয় অভিনয় শিল্পী জাহিদ হাসান এবং জয়া আহসান। সে নিজের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে নিজের মতো করে উপভোগ করতে ভালোবাসে। তার স্বপ্ন সে একদিন খুব বড় একজন অভিনয় শিল্পী হবে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬৪০, ডিসেম্বর ১৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।