ঢাকা: আজম খানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয় পপ গুরুখ্যাত এ মুক্তিযোদ্ধাকে।
এর আগে সোমবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ আনা হলে সেখানে নামে তার ভক্তদের ঢল। সব বয়সী মানুষ সেখানে ভিড় করেন তাকে শেষবারের মতো একনজর দেখতে আর শ্রদ্ধা জানাতে। নারী-পুরুষ-শিশু শ্রদ্ধাসিক্ত ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় গুরুর কফিন।
সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সব পরিম-লের মানুষ হাতে ফুল নিয়ে আসেন আর তা তুলে দেন জাতীয় পতাকায় ঢেকে রাখা আজম খানের কফিনে।
এখানে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত চলে গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।
এর পর আজম খানের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। সেখানে বাদ জোহর দ্বিতীয় নামাজে জানাজার পর মরদেহ নেওয়া হয় মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় শিল্পীর তৃতীয় নামাজে জানাজা। এরপর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়।
সকাল ৭টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে মরদেহ কমলাপুরের বাসায় আনা হয়।
এ সময় তার পরিবারের সদস্য, আত্মীয় স্বজনরা তাকে শ্রদ্ধা জানান। পরে কমলাপুর মসজিদে আজম খানের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে সেখান থেকে পপ সম্রাটের মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
এ সময় কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিক ছাড়াও সর্বস্তরের হাজার হাজার ভক্ত তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মেজবাহ উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়া সেখানে ছিলেন স্বাধীন বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা ছাড়াও রাজনীতিক জয়নাল হাজারী, আজম খানের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ফকির আলমগীর, আইয়ুব বাচ্চু, অভিনেতা টেলি সামাদ, গায়ক মনির খান প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবি তাজুল ইসলাম।
গুরুর দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সহচর ব্যান্ডশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু বলেন, ‘একজন আজম খান একজন বাংলাদেশ, একজন অভিবাবক, একজন মুক্তিযোদ্ধা। ’
তিনি আর বলেন, ‘তার অসুস্থতার পর সবাই যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা ভোলার নয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫, ৬ জুন, ২০১১