প্রয়াত পপগুরু আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে কুল এক্সপোজারের কর্নধার এরশাদুল হক টিংকুর একটি লিখিত বিবৃতি ৯ জুন বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। এতে প্রয়াত পপগুরু আজম খানকে ঘিরে অপবাণিজ্য রোধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ইতিপূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা পপগুরু আজম খানের আইনত উত্তরাধিকারদের লিখিত অনুমতি ছাড়া আজম খানের ছবি সম্বলিত টি-শার্ট অথবা পোস্টার কিংবা শিল্পীর গাওয়া গানগুলোর রিমেক/রিমিক্স, মোবাইল ফোনের রিংটোন হিসেবে ব্যবহার এবং পুরনো-নতুন গান মিলিয়ে অ্যালবাম বাজারজাতকরণ ইত্যাদি না করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়েছিলো।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এক শ্রেণীর সুবিধাবাদীগোষ্ঠী আজম খানের আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে শিল্পীর পরিবারের লিখিত অনুমতি ছাড়াই এ থেকে ফায়দা লুটতে বিভিন্ন ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। এ অবস্থায় সকল মোবাইল অপারেটর, কনটেন্ট প্রোভাইডার, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ অপতৎপরতা রোধে আজম খানের পরিবার কিংবা আইনত উত্তরাধিকারের লিখিত অনুমতিপত্র ছাড়া এ ধরণের বাণিজ্যিক লেনদেন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, আজম খানের পরিবার এবং স্বজনদের পক্ষ থেকে আবারও স্পষ্ট ভাষায় বলা হচ্ছে, শিল্পীর পরিবারের সদস্যদের বিনা অনুমতি অথবা অনুমোদনে এ ধরনের যে কোনো তৎপরতাকে অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। যদি কাউকে এ ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত হতে দেখা যায় কিংবা এর সাথে জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া যায়, তবে তার বা তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, বিবৃতি প্রেরণকারী এরশাদুল হক টিংকু ছিলেন পপগুরু আজম খানের একজন ঘনিষ্ঠ সহচর। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে আজম খানের চিকিৎসাকালীন সময়ে তিনি ছিলেন তার সফরসঙ্গী। স্কয়ার হাসপাতাল ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আজম খানের শেষ দিনগুলিতেও তিনি ছিলেন চিকিৎসা তত্ত্বাবধানে নিবেদিত।
বাংলাদেশ সময় ২৩১৫, জুন ০৯, ২০১১