যতোই দিন যাচ্ছে অভিনয়ে সোহানা সাবা নিজেকে মেলে ধরছেন। হয়ে উঠেছেন ছোটপর্দার নির্মাতাদের নির্ভরযোগ্য অভিনেত্রী।
সোহানা সাবার পথচলা শুরু হয়েছিল নাচ দিয়ে। অথচ নৃত্যশিল্পী সাবাকে খুব কম মানুষই চিনেন। নৃত্য চর্চাটা এখনো অবশ্য তিনি ভুলে যান নি। কিছুদিন আগে একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে নৃত্য করে বুঝিয়ে দিয়েছেন নাচটাও ভালোই জানেন। নাচটা এখন তিনি তুলে রেখেছেন শখের পর্যায়ে। নেশা আর পেশা দুটোই অভিনয়। অভিনেত্রী পরিচয়টাকেই বেশি উপভোগ করেন তিনি।
বর্তমানে এটিএন বাংলা চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে, আফসানা মিমির পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক ‘পৌষ-ফাগুনের পালা’। এই ধারাবাহিকটির প্রমিলা চরিত্রে অভিনয় করে নতুনভাবে দৃষ্টি কেড়েছেন সাবা। নাটকটির শুরু থেকেই রয়েছে প্রমীলার উপস্থিতি, থাকবে শেষ পর্যন্ত। এ চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে সোহানা সাবা বলেন, ‘পৌষ-ফাগুনের পালা’র প্রমীলা চরিত্রটি আসলেই চমৎকার। আমি পরিবারের মেজ বউয়ের চরিত্রটি করছি। যাকে একসময় দেখা যায় স্বামীর সঙ্গে দেশ ছেড়ে ওপার বাংলায় চলে যেতে। এ চরিত্রে অভিনয় করে অনেকের কাছ থেকে প্রশংসা শুনেছি। আমার নিজেরও ভালো লাগছে কাজটি করে।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে ধারাবাহিক নাটক ‘মানবজমিন’-এ সোহানা সাবা করছেন মিথিলা চরিত্রে অভিনয়। মূল উপন্যাসে চরিত্রটির নাম ছিল মণিদীপা। যারা নাটকটি দেখছেন তারা মিথিলা চরিত্রটিতে সাবার সাবলীল অভিনয়ের কথা জানেন। এই চরিত্রটি তাকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সাবা বলেন, মিথিলা চরিত্রটি ছেলেমানুষিতে ভরা। যেমন ইচ্ছা তেমন চলার স্বভাব মিথিলার। ধীরে ধীরে অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে একসময় পরিনত চরিত্রে রূপান্তরিত হয় মিথিলা। ‘মানবজমিন’ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, এই নাটকটির সঙ্গে দুবছর ধরে বসবাস আমার। মিথিলা চরিত্রটির সঙ্গে পুরোপুরি মিশে যেতে চেষ্টা করছি আমি। আমার অভিনয় যদি দর্শকদের ভালো লাগে তাহলেই আমি স্বার্থক।
বিটিভিতে সোহানা সাবা অভিনীত ‘সরল সত্য’ নামে একটি ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে। এর অন্যতম প্রধান চরিত্রে তিনি অভিনয় করছেন।
ধারাবাহিকের পাশাপাশি এক পর্বের নাটকেও সমানে অভিনয় করছেন সোহানা সাবা। ‘অন্ধ তীরন্দাজ’, ‘একা’সহ কয়েকটি এক ঘণ্টার নাটক করেছেন সম্প্রতি। আগামী ঈদের জন্য নির্মাণাধীন প্রায় হাফডজন একপর্বের নাটকের শুটিংয়ে তিনি অংশ নিচ্ছেন।
সোহানা সাবা প্রশংসিত হয়েছেন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও। প্রথম অভিনীত ছবি ‘আয়না’ তাকে একটি ভালো অবস্থান তৈরি করে দেয়। এরপর করেন ‘খেলাঘর’ নামের আরেকটি ছবি। সবশেষে অভিনয় করেছেন ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ছবিতে। ‘আয়না’র মতো পরের চলচ্চিত্র দুটিও তাকে এনে দিয়েছে আলাদা প্রশংসা। সামনে এ রকম জীবন ঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনয় চালিয়ে যাবার ইচ্ছে আছে তার।
বাংলাদেশ সময় ০১১৫, জুলাই ০১, ২০১১