মম ও রওনক সিদ্ধান্ত নিলেন বিয়ে করবেন, তবে কিস্তিতে। এমন একটি খবর যদি শোনা যায় তবে কেমন হয়।
নাটকটি রচনা করেছেন এম আসলাম লিটন। এতে অভিনয় করেছেন জাকিয়া বারি মম, রওনক হাসান, মায়া ঘোষ, কামরুল হাসান, আমিরুল ইসলাম অরুণ, রাশেদা রাখী প্রমুখ।
পরিচালক সৈয়দ মাসুম রেজা জানান, নাটকটি স্যুটিং হয়েছে পুবাইল, ইন্টারএ্যাক্টিভ মিডিয়া, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও সেগুনবাগিচা এলাকায়।
তিনি আরও জানান, নাটকের গল্পটি বেশ মজার। ঈদে নাটকটি প্রচার হলে দর্শকরা বেশ আনন্দ পাবেন।
নাটকের গল্পটি এরকম: দরিদ্র ঘরের ছেলে তবিবরের বাবা মারা গেছেন অনেক আগেই। তাকে নিয়ে তার মায়ের দুঃখের শেষ নেই। নিজের বয়স প্রায় ষাটের কাছাকাছি হয়ে গেলেও একমাত্র ছেলে এখনও বিয়ে না করায় ঘরের কাজকর্ম সব তাঁকেই করতে হয়। তিনি সারাদিন একাজ সেকাজ করেন আর ছেলেকে শুনিয়ে বক বক করেই যান ‘এতোবড় পোলা, বিয়ার নামে নাম নাই। আমার কষ্ট কেউ দেখেনা। এতো লোকের মরন হয় আমার হয়না ক্যা?’ তবিবরকে কথা শুনিয়ে বাজারের ব্যাগ হাতে ধরিয়ে দিয়ে তিনি সমিতির কিস্তির টাকা দিতে বের হয়ে যান।
তবিবর বাজারে যাওয়ার সময় ওর বন্ধু আসাদের সাথে দেখা। আসাদ একটা নতুন মোটর সাইকেল চালিয়ে আসছিল। তবিবর আসাদকে জিজ্ঞেস করে মোটর সাইকেল কেনার টাকা কোথায় পেল। আসাদ জবাবে জানায় আজকাল কোন কিছু কিনতে অনেক টাকা লাগেনা। তার মতে সারাদেশটাই চলছে কিস্তিতে যেমন- ফ্রিজ, টেলিভিশন থেকে শুরু করে জমি পর্যন্ত কিস্তিতে পাওয়া যায়। আসাদ আরও বলে শুধুমাত্র বিয়ে বাদ দিয়ে সবকিছুই কিস্তিতে করা সম্ভব। ‘বিয়ে বাদ দিয়ে’ কথাটা তবিবরের কানে ধরে। তবিবর আসাদের দিকে বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। আসাদ মোটর সাইকেল স্টার্ট করে বিদায় নেয়।
তবিবর শখের বশে সিদ্ধান্ত নেয় যে সে কিস্তিতে বিয়ে করবে। যেই কথা সেই কাজ। তবিবর কাপড় গুছিয়ে ব্যাগপত্র নিয়ে রওনা হয় ঢাকার উদ্দেশে। সেখানে গিয়ে ম্যারেজ মিডিয়ার সাথে যোগাযোগ করে বিয়েটা কিস্তিতে সেরে ফেলতে চায় তবিবর। সাগরিকা ম্যারেজ মিডিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে তবিবরের এগ্রিমেন্ট হয় কিস্তিতে বিয়ের। ঘটনাচক্রে সাগরিকা ম্যারেজ মিডিয়ার প্রধান ‘সাগরিকা’র সাথে বেশ কিছু মজার ঘটনা ঘটে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০০০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১১