এ আর রহমান, নামেই যার পরিচয়। ভারতীয় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির এই রত্ন অস্কার বিজয় করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্থান করে নিয়েছেন।
খ্যাতির পাশাপাশি খ্যাতির বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন সম্প্রতি এ আর রহমান । অনেকেই বলছেন, বলিউডে এখন এআর রহমানকে পাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাকে কাজের জন্যে চুক্তিবদ্ধ করতে হয়। তবু তার শিডিউল পাওয়া যায় না।
বিষয়টিকে অস্বীকার করে রহমান বলেন, `এটা মোটেও সত্যি নয়। ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিই আমার প্রথম ভালবাসা এবং অর্থের মূল্যায়নে আমি একে কখনোই ছোট করতে পারি না। অর্থের জন্যে আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসিনি। কাজকেই আমি ভালোবাসি। যে কোনো ভালো কাজে আমি সময় দিতে সবসময় প্রস্তুত। ’
অস্কার বিজয়ের পর থেকে হলিউডের প্রতি তার আসক্তির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্বভ্রমণ এবং অন্যান্য অঙ্গীকার পূরণ করতে গিয়ে আমি ভারতে খুব বেশি সময় দিতে পারছি না। কিন্তু আমি ভারতের ফিল্মে মিউজিক কম্পোজিশনের কাজ থেকে নিজেকে কখনোই বিচ্ছিন্ন করতে পারবো না। কেবলমাত্র হলিউডেই কাজ করবো, এমন কোনো মনোভাবও আমার নেই। ’
১৯৬৬ সালে ৬ জানুয়ারি ভারতে জন্ম নেওয়া অসাধারণ সঙ্গীতপ্রতিভা এ আর রহমানের আসল নাম এ এস দিলীপ কুমার। ১৯৮০ সাল থেকে টানা ২০ বছর তিনি শুধু বলিউডেই কাজ করছেন। পরবর্তীতে হলিউড পর্যন্ত বিস্তৃত হয় এই সঙ্গীতপ্রতিভার কাজের পরিধি।
এ আর রহমান সম্প্রতি হলিউডের মিক জেগারের সঙ্গে কাজ করার পাশাপাশি তার প্রথম ওয়ার্ল্ড মিউজিক অ্যালবাম ‘রক দ্য টেবল’এর কাজ করছেন। সেইসাথে ‘গুরু’ ও ‘১২৭ আওয়ারস্ আন্ডার হিজ বেল্ট’ অ্যালবামে কাজ করে হলিউড ও বলিউডে নিজের রাজত্ব বিস্তার করছেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন,’মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করছি ,এটা চিন্তা করা ঠিক হবে না। আমি শ্রোতাদের আনন্দ দিতে এবং মিউজিক নিয়ে গবেষণা করতেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে আছি। অনেক রকম সৃজনশীল ভালো কাজের মধ্যে আমি মিউজিক নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় আনন্দিত। ’
সহধর্মিনী সায়রা বানুকে এ আর রহমান তার সব কাজের অনুপ্রেরণার উৎস বলে মনে করেন। তিনি বলেন, আমার শক্তি প্রেরণা এবং শান্তির কারণ আমার স্ত্রী । আমি আশা করি, সে সবসময়ই আমার পাশে থাকবে। আজকে আমি যে যোগ্যতা অর্জন করেছি সবই তার কারণেই। ’
বাংলাদেশ সময় ১৮১৫, জুলাই ১৯, ২০১১