কক্সবাজার সমূদ্রে গোসল করতে নেমে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারানো ক্লোজ-আপ ওয়ান তারকা আবিদ শাহরিয়ার কবর দেওয়া হয়েছে গ্রামের বাড়ি খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশায় পারিবারিক কবরস্থানে। ৩০ শনিবার খুলনার মিয়াপাড়ার ‘সুনীড়’ ভবনে আবিদের মরদেহ পৌঁছালে তৈরি হয় হৃদয়-বিদারক পরিস্থিতি।
তরুণ সঙ্গীতশিল্পী আবিদ শাহরিয়ার ২৯ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে গিয়ে প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ সময় আবিদের সঙ্গে থাকা দুই সহকর্মী মোত্তাকিন এবং আশিকও প্রাণ হারান। ৩০ জুলাই সকালে আবিদের মরদেহ কক্সবাজার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। বেলা ১১টায় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয় তার মরদেহ। ভেজা চোখে আবিদকে শেষবারের মতো বিদায় জানাতে অসংখ্য বন্ধুবান্ধব, শিল্পী, ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ী জড়ো হয়েছিলেন সেখানে। ঘণ্টাখানেক শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কাওরানবাজারের এনটিভি ভবনে। এনটিভির আয়োজনে ২০০৫ সালে ক্লোজআপ ওয়ান ইভেন্টে সেরা দশে জায়গা করে নিয়ে সঙ্গীতশিল্পী আবিদ সুপরিচিতি পেয়েছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টায় আবিদের মরদেহ বহনকারী গাড়ি খুলনার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে।
সঙ্গীতশিল্পী আবিদ শাহরিয়ারের ডাক নাম বাপী। ১৯৮৪ সালের ১৮ জুলাই তিনি খুলনায় দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আবিদের বাবা এডভোকেট মিনা মিজানুর রহমান একজন আইনজীবি। মা রমা রহমান রূপসা কলেজের সহ-অধ্যাপিকা। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবিদ ছিলেন বড়। ছোটভাই বাঁধন খুলনার সেন্ট যোশেফ স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।

সঙ্গীতশিল্পী আবিদের অকাল মৃত্যুতে দেশের সঙ্গীতাঙ্গন সহ মিডিয়া এখন শোকে মুহ্যমান। পুরো খুলনা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
বাংলাদেশ সময় ০১৩০, জুলাই ৩২, ২০১১