ঢালিউডের এই সময়ের অপ্রতিদ্বন্দ্বী খলনায়ক বা ভিলেন মিশা সওদাগর। এবারের ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ৭টি ছবির মধ্যে সর্বাধিক ৫টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
এই ঈদে মুক্তি পাচ্ছে মোট ৭টি ছবি। এর মধ্যে ৫টি ছবি মুক্তি পাচ্ছে সিনেমা হলে, বাকি ২টি ছবি ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের মাধ্যমে ছোটপর্দায় মুক্তি দেওয়া হবে। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি প্রতীক্ষিত ৫টি ছবিতেই অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগার। সব ছবিতেই তাকে দেখা যাবে মন্দলোকের ভূমিকায়। ছবিগুলো হলো ‘টাইগার নাম্বার ওয়ান’, ‘আমার পৃথিবী তুমি’, ‘একবার বলো ভালবাসি’, ‘জান কোরবান’ ও ‘গরীবের ভাই’।
এই ৫ ছবির তিনটিতে মিশা সওদাগর ভিলেন হিসেবে মুখোমুখি হবেন নায়ক শাকিব খানের এবং বাকি দুই ছবিতে ডিপজলের বিপরীতে ভিলেনের ভূমিকায় তাকে দেখা যাবে।
এ বিষয়ে মিশা সওদাগরের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এটা আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানী। চলচ্চিত্রের মন্দ মানুষ হয়েও আমি দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছি। দর্শকরা আমাকে ভালোবেসেছেন বলেই আমার চাহিদা তৈরি হয়েছে। এই ঈদে সর্বাধিক সংখ্যক ছবিতে অভিনয় করতে পারাকে আমি আমার শিল্পীজীবনের পরম সৌভাগ্য বলে মনে করছি।
অতীতে জসিম এবং হালের ডিপজল ছিলেন একসময়ের পর্দা কাঁপানো সফল ভিলেন। দুজনকেই পরবর্তীতে নায়ক হিসেবেও সফল হতে দেখা গেছে। মিশা সওদাগরকেও ভবিষ্যতে নায়ক হিসেবে দেখা যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বললেন, নায়ক হওয়ার বৈশিষ্ট্য প্রয়াত শ্রদ্ধেয় জসিম ও ডিপজল ভাইয়ের মধ্যে নিশ্চয়ই ছিল। যার কারণে তারা নায়ক হতে পেরেছেন। আমার মধ্যে সে ধরণের কোনো বৈশিষ্ট্য এখন পর্যন্ত নিজের কাছেই ধরা পড়ে নি। তবে মাঝেমধ্যে মন্দ মানুষের যে ভালো মানুষ সাজতে ইচ্ছে করে না, তা অস্বীকার করবো না।
রূপালী পর্দায় ভয়ংকর বদলোক হিসেবে মিশা সওদাগরকে দেখা গেলেও ঢালিউডের শিল্পী-কলাকুশলীদের কাছে বিনয়ী ও মিষ্টভাষী মানুষ হিসেবে তার সুনাম আছে। কিছুদিন আগে তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় ০০২৫, ২৭আগস্ট, ২০১১