ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

হোমায়রা হিমুর রূপচর্চা

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১০

হোমায়রা হিমু, নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল। নিত্যনতুন সাজে প্রতিদিনই টিভি স্ক্রিনে তাকে দেখা যায়।

লাবণ্যময়ী এই অভিনেত্রী বলেছেন তার রূপচর্চা সম্পর্কে। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডির সঙ্গে আলাপচারিতায় হোমায়রা হিমু বলেছেন নিজেকে সতেজ রাখার কৌশল ।

শুধু রূপ থাকলেই চলে না, রূপকে বিকশিত করার জন্য প্রতিদিন দরকার ঘষামাজা বা যতœ নেওয়ার। একেই  বলে রূপচর্চা। এভাবেই হোমায়রা হিমু রূপচর্চাকে সংজ্ঞায়িত করলেন। রূপচর্চায় সবার আগে কোন বিষয়টির প্রতি জোর দেওয়া জরুরি? এ প্রশ্নের উত্তরে হিমু বললেন, সবার আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি দৃষ্টি দেওয়া দরকার। বিশেষ করে আমরা যারা মিডিয়ায় কাজ করি, তাদের তো প্রতিদিন ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। কারণ শুটিংয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে আমাদের মেক-আপ নিতে হয়। আমাদের দেশের মেকআপম্যানরা বেশির ভাগ সময় নিম্নমানের মেক-আপ সামগ্রী ব্যাবহার করে থাকেন, যা ত্বকের ক্ষতি করে। নিজের মেকআপের জন্য একটু উন্নতমানের মেকআপ সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারলে ভালো হয়। তা সম্ভব না হলে কাজ শেষে যত দ্রুত সম্ভব ভালো ফেসওয়াশ বা কোমল সাবান ব্যবহার করে মেকআপ তুলে ফেলা দরকার।

মেকআপের ব্রাশ, ফোম, লাইনার, পাফ ইত্যাদি নিজেরটা নিজেরই সংগ্রহে রাখা উচিত। হিমু জানালেন, প্রতিদিন বাইরে বের হওয়ার আগে তিনি একবার গোসল করেন এবং বাইরে থেকে বাসায় ফিরে আরেকবার গোসল করে নেন। শীত-গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই দু বার গোসল করা তার অভ্যাস। দিনে অন্তত ৪-৫ বার চেহারাটা ঠান্ডা পানির ঝাপটায় ধুয়ে নেন। শুটিং না থাকলে বাসায় তিনি কোন মেক-আপ নেন না বললেই চলে। বাইরে কোথাও গেলে ব্যবহার করেন শুধু আই লাইনার আর লিপস্টিক। পার্টি থাকলে অবশ্য একটু সাজুগুজু করতে হয়। এ ক্ষেত্রে মুখে নেন হালকা ব্লাশন। কাজল দিয়ে টেনে দেন চোখ। ব্যাস এটুকুই। শুটিংয়েই কেবল নেন গর্জিয়াস মেকআপ। অন্য সময় ছিমছাম হালকা মেকআপই হিমুর পছন্দ। সপ্তাহে একবার তিনি বিউটি পার্লারে যেতে চান, কিন্তু সময়ের অভাবে প্রায়ই সেটা সম্ভব হয় না। গড়ে দু-সপ্তাহ পর পর একবার যাওয়া হয়। বিউটি পার্লারে গেলে ভ্রƒ-প্ল্যাক তার করা চাই-ই চাই। চুলের ডগা কাটানোর কাজটিও নিয়মিত করেন। হাতে সময় থাকলে মাঝেমধ্যে করিয়ে নেন ফ্যাসিয়াল, মেনিকিউর আর পেডিকিউর।

নিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়াকেও হোমায়রা হিমু রূপচর্চার অংশ বলে মনে করেন। চেষ্টা করেন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাক-সবজি আর সালাদ রাখার জন্য। ডেজার্ট হিসেবে ফলমূল রাখার চেষ্টা করেন। চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। ভাজা-পোড়া খেতে যদিও হিমু একসময় খেতে খুব পছন্দ  করতেন, এখন ওসব থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্ট করেন। ভাত খাবার পরিমাণও এখন তিনি কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন, সহজে হজম হয় এরকম খাবার গ্রহণেই আমি এখন বেশি জোর দিই। তৈলাক্ত বা চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খেলে অনেকের মতো আমারও হজমে একটু অসুবিধা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় মুখে অনেক সময় ব্রণ বা র‌্যাশ দেখা দেয়।

হিমু আরো জানালেন, রূপচর্চায় তিনি বেশি ব্যবহার করেন প্রাকৃতিক উপাদান বা ভেষজ সামগ্রী। বাজার থেকে রূপচর্চা সামগ্রী কেনার আগে দেখে নেন সেটা নাম করা ভালো ব্যান্ডের আসল পণ্য কিনা। কারণ বাজারে এখন নকল প্রসাধনের ছড়াছড়ি।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়  ১৫৩৫, আগস্ট ০৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।