আপনার শিশুটি কি আক্রমণাত্মক, যেমন ধরুন- মারামারি করা, কোনো কারণ ছাড়াই লাথি ছোড়া, থুথু ছিটানো বা রাগ হলে হাতের কাছে যা তা ছুঁড়ে মারা সেক্ষেত্রে জেনে নিন এ সমস্যার সম্ভাব্য কারণ ও সমাধানের উপায়।
কারণ-
- আত্মবিশ্বাসের অভাব।
- বাচ্চা তার সমস্যাগুলো ঠিকমতো বোঝাতে পারছে না
- বাবা ও মায়ের ওপর অতিরিক্ত রাগ অথবা অভিমান
- হতাশ অথবা আক্রমণপ্রবণ বাচ্চাদের সঙ্গে মেলামেশা
- মনোযোগ আকর্ষণের জন্য
- পরিবারের কোনো সমস্যা অথবা বাইরের কাউকে মারপিট করতে দেখা; টিভিতে দেখা কোনো মারপিটের দৃশ্য বা ভিডিও গেমস ।
সম্ভাব্য প্রতিকার-
- পরিবারের বড়রা যদি চিৎকার চেচাঁমেচি করে বা রাগ করে জিনিসপত্র ভাঙ্গে তাহলে তার প্রভাব শিশুর ওপর পড়তে বাধ্য। তাই সুচিন্তিত ভাবে রাগকে দমন করুন।
- বাচ্চার মুখে হঠাৎ কোন খারাপ কথা শুনলে শুরুতেই তাকে বকা ঝকা করবেন না, তাকে সময় নিয়ে বোঝান।
- শিশুকে সৃজনশীল কাজে বেশি ব্যস্ত রাখুন, ছোট বেলা থেকেই। সেটা গল্প শেখা হোক আর বাদ্যযন্ত্র বাজানোই হোক।
- বাচ্চাদের সাথে ভুলেও মারামারি ধরনের খেলা খেলবেন না। তাহলে এই মনোভাবের প্রভাব আরো বেশি প্রকাশ পাবে।
- আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ করবেন আপনার শিশু কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা পরিবেশ দেখলে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে কিনা।
- শিশুকে চেষ্টা করবেন ইনডোর গেমস থেকে আউট ডোর গেমসের প্রতি বেশি উৎসাহিত করতে।
মনে রাখতে হবে, শিশুরা বড়দের দেখে শেখে। তাই তাদের সামনে সচেতন থাকতে হবে। কাউকে ছোট করে কথা বলা, বকা দেওয়া, নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করা প্রতিটি বিষয়ই শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বন্ধুরা আরও নানা বিষয়ে জানতে ও আপনার মতামত জানাতে https://www.facebook.com/bnlifestyle
লাইফস্টাইল বিভাগে লেখা পাঠাতে পারেন [email protected]