ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

স্বাস্থ্য-চিকিৎসাবিজ্ঞানে এবারের সেরা কিছু উদ্ভাবন

নুসরাত জাহান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১০

ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী মশা ও মশারোধী লেজার
এটা ছিল মশাদের জন্য খারাপ একটি বছর। বিশ্বের সবচে বিরক্তিকর এ পতঙ্গ প্রতি বছর ২৫ কোটি ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ এবং ১০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ।

তবে সম্প্রতি অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা মশার বংশগত গুণাবলি পরিবর্তন করে ম্যালেরিয়ার জীবাণুমুক্ত নিরাপদ মশা উদ্ভাবন করেছেন। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আগামী ১০ বছরের মধ্যে এসব মশা মুক্ত করা হবে এবং তা জীবাণুবাহী মশার জায়গা দখল করবে।

একই সময়ে মাইক্রোসফটের সাবেক নির্বাহী নাথান মাইহারভোল্ড এমন একটি লেজার উদ্ভাবন করেছেন যা অন্যান্য পতঙ্গের কোনো ক্ষতি না করেই মশাকে আক্রমণ করতে পারবে। তিনি মূলত লরেন্স লিভারমোর গবেষণাগারে মশারোধী এ লেজার নিয়ে গবেষণা করেন এবং বেলেভুর ইন্টালেকচুয়াল ভেনচুরাস গবেষণাগারে তা তৈরি করা হয়।

নিউনার্চার ইনকিউবেটর
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী নিউনার্চার ইনকিউবেটরটি তৈরি করেন। মূলত সময়ের আগেই জন্ম নেওয়া শিশুদের (প্রিমাটিউর বেবি) প্রতিপালনে এ ইনকিউবেটরটি কার্যকরী। এতে থাকা হেডলাইট শিশুদের উত্তাপ দেবে, এর ড্যাশবোর্ডে থাকা ফ্যান বায়ু চলাচলে সাহায্য করবে এবং এ যন্ত্রে কোনো সমস্যা দেখা দিলে ইনকিউবেটরের দরজায় লাগানো ঘণ্টা ও সংকেত বাতি অ্যালার্ম বাজিয়ে সতর্ক করবে। এমনকি মোটরসাইকেলের ব্যাটারি দিয়ে এ যন্ত্রটি কাজে লাগানো যাবে।    

ই-লেগস এক্সোস্কেলিটন
পক্ষঘাতগ্রস্তদের নিজের শক্তিতে উঠে দাঁড়ানো সম্ভব বলে উল্লেখ করা হলেও তাদের ক্ষেত্রে হাঁটা সম্ভব বলে এখনও তেমন জোর দিয়ে বলা হয়নি। কিন্তু এক্সোস্কেলিটনের উদ্ভাবিত ই- লেগস এখন সেই আশার বাণীও শোনাচ্ছে। তাদের তৈরি রোবটিক পায়ের সঙ্গে যুক্ত ক্রাচ ব্যক্তির পায়ের নির্দেশনা বুঝতে সক্ষম হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে। এটাই প্রথম এ ধরনের যন্ত্র যা মূলত সেনা সদস্যদের পায়ে বেঁধে রাখা ভারী সরঞ্জামাদি দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে তৈরি করা হয়। এ যন্ত্রটির সঙ্গে শরীরকে অভ্যস্ত করার একটি বিষয় আছে বলে প্রাথমিকভাবে শুধু পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সাহায্যে ব্যবহৃত হবে। তবে ২০১৩ সালের মধ্যে তা বাজারজাত করা হবে বলেও জানা যায়।

আই-রাইটার
যখন আপনার মস্তিষ্ক সক্রিয় কিন্তু শরীর নিষ্ক্রিয় তখন আপনি কীভাবে যোগাযোগ করবেন? এ সমস্যা সমাধানে দ্য নট ইম্পসিবল ফাউন্ডেশনের ইবেলিঙ্গ দল এবং গ্রাফিতি রিসার্চ ল্যাব যৌথভাবে তৈরি করেছেন ‘আই-রাইটার’। সাশ্রয়ী মূল্যের আই-ট্র্যাকিং কাচ এবং ওপেন-সোর্স সফটওয়্যারের সাহায্যে এ যন্ত্রটি তৈরি করা হয়। এর সাহায্যে এখন স্নায়ুপেশির অস্বাভাবিকতায় আক্রান্ত ব্যক্তি তাদের চোখ নাড়িয়ে লিখতে ও আঁকতে পারবে অর্থাৎ যন্ত্রটি ব্যক্তির চোখের ইশারা বুঝে সে অনুযায়ী সাড়া দেবে।
লস অ্যাঞ্জেলেস ভিত্তিক গ্রাফিতি শিল্পী টনি ‘টেম্প’ কুয়ানের জন্য এ যন্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে। পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার পর আই-রাইটারের সাহায্যে এবারই প্রথম কোনো কিছু আঁকতে সক্ষম হন এ শিল্পী। এ বিষয়ে কুয়ান বলেন, ‘এটি পাঁচ মিনিট পানির নিচে থেকে পরে শ্বাস নেওয়ার মতো অনুভূতি । ’

সূত্র : টাইম

বাংলাদেশ সময় ১৮৩০, ডিসেম্বর ৩০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।