সবাই যখন জিরো ফিগারের পেছনে ছুটছে...আমরা বাড়তি ওজনের মালিকদের তখন বিড়ম্বনার যেন শেষ নেই। বাড়তি মেদের জন্য দেখতে বেঢপ লাগে, আর সঙ্গে স্বাস্থ্য সমস্যা তো রয়েছেই।
স্নিগ্ধা সেদিন খুব আক্ষেপ করে বলছিল, এভাবে ওজন বাড়তে থাকলে কী অবস্থা যে দাড়াবে? আমরা জানি শরীরে অতিরিক্ত ওজন বাড়তে দেওয়া ঠিক নয় কিন্তু এই বাড়তি ওজন খুব অল্প সময়ে কমানো তো একেবারে সহজ কথা নয়। তাতে কী, চেষ্টা তো করতে হবে।
জেনে অবাক হবেন, আমরা চাইলে একমাস বা ৪ সপ্তাহে ৫ পাউন্ড পর্যন্ত শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে পারি।
আমাদের ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জানতে হবে, উচ্চতা এবং ওজন কত? আর উচ্চতার তুলনায় কতোটুকু ওজন (বিএমআই) হলে আমরা বাড়তি ওজন কমিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফিগার পেতে পারি।
স্থির করুন কতোটা ওজন কমাতে হবে, সেই অনুযায়ী খাবারে প্রতিদিন আমরা কী পরিমান ক্যালোরি নিচ্ছি আর কতোটা পোড়াচ্ছি হিসেব করে নিন। একটি নির্দিষ্ট খাবারের আইটেম প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন। যেমন প্রথমে চিনিসহ চা বা কফি বাদ দিয়ে দেখতে পারেন।
আবার কয়েকদিন বিকেলের নাস্তায় তেলে ভাজা খাবার না খেয়ে একটি দেশি ফল খাওয়া যায়। রাতের খাবারে সম্ভব হলে মাছ, মাংস, ডিম না খেয়ে সবজি খান। খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ হয়ে যাবে। আর যে কাজটুকু বাকি থাকলো তা হচ্ছে-সপ্তাহে পাঁচ দিন মাঝারি গতিতে ৩০ মিনিট দৌঁড়াতে হবে। দৌঁড়টা হবে এমন গতিতে, যেন ৩০ মিনিটে আমরা ৩ কিলোমিটার পথ পেরুতে পারি। অর্থাৎ ১০ মিনিটে যেতে হবে ১ কিলোমিটার পথ।
সঠিক ডায়েটিং আর ব্যায়াম মাত্র ৪ সপ্তাহ ট্রাই করুন। যখন দেখবেন শরীরের এতোটা মেদ ঝরে গেছে তখন আর কিছুই বলতে হবে না, নিজেই অভ্যাসগুলো ধরে রাখবেন।