মহাখালীর সাততলা বস্তি। যাদের বস্তিতে যাওয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই।
দুগর্ন্ধে দম বন্ধ অবস্থা। এতো প্রতিকুলতা যেখানে সেই বস্তিতেই অপেক্ষা করছে একঝাঁক সম্ভবনাময় ফুটফুটে শিশু। মাত্র তিন বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে স্কুলে এসেছে শাকিল। মারুফ, আকলিমার বয়সও কাছাকাছি। তারা দরিদ্র বাবা-মায়ের বস্তিতে থাকা সুবিধা বঞ্চিত শিশু। অভাব যাদের নিত্যসঙ্গী।
মঙ্গলবার ভর-দুপুরে রাজধানীর জ্যাম আর বস্তির পথ পেরিয়ে যখন হেল্পিং হিউম্যান ফাউন্ডেশন পরিচালিত এডুস্কুলে পৌঁছালাম শিশুগুলোর দিকে তাকিয়ে সব কষ্ট উধাও হয়ে গেল। ওদের চোখে স্বপ্ন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার। কেউ শিক্ষক হতে চায়, কেউ চায় ডাক্তার হতে। ওহ, দুই একজন সাংবাদিকও হতে চায়। সবাই মহৎ পেশায় এসে মানুষের সেবা করতে চায়।
দাঁতের সুস্থতার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বস্তির শিশুদের বাংলানিউজের বিএনএসএস ও হোপ বাংলাদেশ যৌথভাবে ফ্রি দাঁতের চেকআপ করানো হয়। স্কুলে শিশুদের চেকআপ করেন দন্ত বিশেষজ্ঞ মেহেদী আল হাসান। শিশুদের প্রাথমিক চেকআপ শেষে যাদের দাঁতে বড় সমস্যা রয়েছে তাদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব নেয় মান্ডি ডেন্টাল কলেজ।
এই আয়োজনে উপস্থিত থেকে শিশুদের নিজেদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গল্প বলে উৎসাহিত করেন, এসময়ের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী পরভেজ সাজ্জাদ, মোহামেডানের ক্রিকেটার মোহাম্মাদ শাহীন।
শিশুদের জন্য উপহার নিয়ে আসেন হোপ বাংলাদেশের অন্যতম পরিচালক ইসলাম জিন্নাহ। সুন্দর এই উদ্যোগকে সফল করতে সহযোগিতা করেন নিয়াজ মোর্শেদ নাহিদ, মাহমুদুল ইসলাম, স্কুলের শিক্ষক জাহাঙ্গির আলম ও অন্য শিক্ষকরা।
বাংলানিউজের বিএনএসএস ও হোপ বাংলাদেশের মানবতার সেবায় এগিয়ে আসায় এবং অসহায় দরিদ্র শিশুদের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান হেল্পিং হিউম্যান ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান।
পুরো আয়োজন সমন্বয় করেছেন বাংলানিউজের লাইফস্টাইল এডিটর ও বিএনএসএস আহ্বায়ক শারমীনা ইসলাম ও হোপ বাংলাদেশের ইসলাম জিন্নাহ।
সমাজের দুঃস্থ ও আর্তপীড়িত মানুষের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে বাংলানিউজের নিজস্ব ত্বত্তাবধানে পরিচালিত হচ্ছে 'বাংলানিউজ সোশ্যাল সাভির্স' (বিএনএসএস) সামাজিক সেবা কর্মসূচি।
বিএনএসএস ইমেল: [email protected]