আমরা আজকাল বেশ ব্র্যান্ড সচেতন। নিজের জন্য কিছু কেনার আগে বা প্রিয়জনকে উপহার দিতে চাইলে প্রথমেই চিন্তা করি কী দেব।
কোনো হাউসের পণ্য তার মান এবং ডিজাইন দিয়েই সবার মাঝে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে। আর সহনশীল দামের জন্য সব ধরনের ক্রেতার কাছে হয়ে ওঠে জনপ্রিয়।
বাংলাদেশে ফ্যাশন সচেতনতা তৈরি এবং দেশীয় পোশাককে আমাদের কাছে তুলে আনার পেছনে যে কয়টি হাউসের অবদান বেশি তার মধ্যে অন্যতম আমার প্রিয় ফ্যাশন হাউস রঙ।
সবাইকে রাঙিয়ে দিতে সেই নারায়ণগঞ্জের মেঝেতে পাটি পেতে যাত্রা শুরু করেছিলো একটি স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে পাখা মেলে জানান দিচ্ছে তার সরব উপস্থিতি, যার হাত ধরে আজ রঙ সবার কাছে পৌঁছেছে সে আমাদের প্রিয় বিল্পব দা(বিল্পব সাহা)। সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আজও রঙ-এর হাল ধরে রেখেছেন সৌমিক দা(সৌমিক দাস)।
সফলতার ২০ বছরে পা দিল আমাদের প্রিয় রঙ। দীর্ঘ এই সময়ে বাঙালির প্রতিটি উৎসব নানা রং আর বৈচিত্র্যতার মাধ্যমে দেশি পোশাককে সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার কাজটি করে আসছে রঙ।
রঙ আমাদের শিখিয়েছে শুধু তরুণদের জন্যই নয় বাড়ির বৃদ্ধদের জন্যও আনন্দ উৎসবে তৈরি হতে পারে শ্রদ্ধার রঙে পোশাক।
রঙ-এর ২০ বছরের শুভ জন্মদিনকে সৌমিক দাস উল্লেখ করেছেন এক আনন্দ বেদনার কাব্য হিসেবে।
আর বিল্পব সাহা বলেন, রঙ-এর মাধ্যমেই দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সময়কে রাঙিয়ে চলেছেন, সামনের সময়গুলোতেও সবাইকে সঙ্গে নিয়ে রঙিন পথ পারি দিতে চান তিনি।
দেশ বরেণ্য ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হক রঙ-এর এই সফল পথচলাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, শুধু পোশাকেই নয় মানুষের মনকেও নানা রং-এ রাঙিয়ে যাচ্ছে রঙ। তিনি রঙ-এর এই যাত্রা আরও অনেক বেশি দীর্ঘ হবে বলে জন্মদিনে শুভকামনা জানান।
রঙ-কে বাংলানিউজের মাধ্যমে শুভকামনা জানিয়ে আমাদের সবার শ্রদ্ধেয় নায়ক রাজ রাজ্জাক বলেন, আজকাল তরুণরা দেশকে ভালোবেসে দেশীয় পোশাক সবার মাঝে পরার যে আগ্রহ তৈরি করেছে, এজন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে বিল্পব সাহা। পরিশ্রমী, সৎ এবং ভালো মানুষ বলে বিল্পব সাহাকে সব সময় স্নেহ করেন বলেও জানান এই কিংবদন্তি।
দেশের মতো বিশ্বের অনেক দেশে রঙ –এর পোশাক জনপ্রিয় হবে বলেও আশা করেন তিনি।
সবার মতো বাংলানিউজের পক্ষ থেকে রঙ-এর ২০ বছরের জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।