তীব্র শীতের সাথে শুরু হয়েছে ত্বকের নানাবিধ সমস্যা। তাই এখন থেকেই শুরু হোক ত্বকের বাড়তি যত্ন।
ময়েশ্চারাজার: শীতে ত্বকের যত্নে একটি ভালোমানের ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। বাজার থেকে বাদাম তেল বা এভাকাডো সম্বৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার কিনুন। এগুলো ত্বকের স্বাভাবিক আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যতবার ত্বক শুষ্ক মনে হবে ততবার ব্যবহার করুন।
আদ্রতা ধরে রাখুন: শীতকালে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে মাঝে মাঝে মুখে পানির ঝাপটা দিন। সহজে ত্বক শুষ্ক হবে না।
অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন: গোসলের সময় আরাম অনুভব হলেও অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে মুখ, মাথা ধোয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অতিরিক্ত গরম পানি মুখের ত্বকের ফলিকলগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। গোসলের সময় পানিতে কয়েক ফোটা জোজোবা বা বাদাম তেল দিয়ে নিলে তা ত্বককে আদ্র এবং মসৃণ করতে সহায়তা করে।
ভেজা ত্বকে পরিচর্যা করুন: গোসলের পর এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে।
ত্বক কোমল রাখতে এই সময়ে চটজলদি করে নিন কিছু ঘরোয়া যত্ন:
আধা কাপ চিনি, তিন টেবিল চামচ পানি এবং সমপরিমাণ ওলিভ ওয়েল দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে স্ক্র্যাব তৈরি করুন।
চাইলে পছন্দের পারফিউম বা সামান্য গোলাপ জল মেলাতে পারেন, এবার ঘষে ঘষে মাখুন। যতক্ষণ না আপনার ত্বক কাঙ্ক্ষিত কোমলতা পান।
চিনি গলে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে আলতো করে মুছে ময়েশ্চারাইজার লোশন বা ক্রিম লাগিয়ে নিন।
কফি আর ওলিভ ওয়েল দিয়েও তৈরি করতে পারেন প্রাকৃতিক স্ক্র্যাব।
বেকিং সোডা আমাদের কেক তৈরিতে ব্যবহার হয়, এটা তো আমরা সবাই জানি। কিন্তু আপনার ত্বকের স্ক্র্যাবিং এর দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন। শুভ্র এই পাউডারের ওপর। ত্বক পরিষ্কারে এবং ব্লাক হেডস দূর করতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে মেখে ১০ মিনিট রেখে হালকা ঘষে ধুয়ে নিন।
এছাড়াও স্ক্র্যাব তৈরি করতে পারেন চিনি ও লেবুর রস, চালের গুড়া ও কমলার রস এবং সুজি ও পেঁপের রস দিয়ে।
সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার: শীত আসছে বলে ভাববেন না যে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজনীতা কমে গেছে। শীতকালেও বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে এসপিএফ ১৫-৩০ সম্পন্ন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
শীতে সুন্দর কোমল ত্বকে হয়ে উঠুন অনন্যা।