ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

কার্বন গ্রিনে নিরাপদ খাবার

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
কার্বন গ্রিনে নিরাপদ খাবার কার্বন গ্রিনে নিরাপদ খাবার। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: জীবন ধারণের জন্য আমরা প্রাত্যহিক জীবনে যেসব খাবার খাচ্ছি, সেগুলোতে থাকছে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রণের ঝুঁকি। তবে সোডিয়াম-বাই-কার্বনেট বা খাবার সোডা ও অ্যাকটিভেটেড কার্বনের নির্দিষ্ট মাত্রার মিশ্রণের পানিতে শাকসবজি ও ফল ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে তারপর ভালোভাবে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিলে নিরাপদ হয়ে যায়।

‘কার্বন গ্রিন’ নামে একটি পাউডার বেশ কম দামেই পাওয়া যায়। যা খাদ্যদ্রবের গায়ে লেগে থাকা বিষ থেকে আমাদের সহজেই মুক্তি দিতে পারে।


 
পোকামাকড় ধ্বংসকারী কেমিক্যাল ও কীটনাশক ব্যবহারের বিপদ
কার্বন গ্রিন নিরাপদ খাবার- ফাইল ছবিআমরা কী খাচ্ছি? 
জীবন ধারণের জন্য ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের প্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, শাকসবজি খাই। আমরা জানি, এগুলো বিভিন্ন ভিটামিন ও প্রয়োজনীয় উপাদানে সমৃদ্ধ যা আমাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রয়োজন। এসব শাকসবজি উৎপাদন ও সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় বিধ্বংসী রাসায়নিক পদার্থ, হরমোন ও কীটনাশক সারা বিশ্বেই ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু ওইসব রাসায়নিক পদার্থ বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত মাত্রার চেয়ে বেশি ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের অসুখ এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
দুঃখজনক হলেও সত্যি, কৃষকদের জ্ঞানের অপ্রতুলতা, মাঠ পর্যায়ে ক্ষেত্র বিশেষে অসততা ও অতিরিক্ত মুনাফার লোভ আর কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকির সক্ষমতার অভাবে আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শাকসবজি, ফলমূল, মাছ ইত্যাদি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কীটনাশক, হরমোন, কেমিক্যাল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে আমরা প্রতিদিনই বিষযুক্ত খাবার খাচ্ছি আমাদের অজান্তেই।

বিপদ কী?

ফরমালিন/ফরমালডিহাইড:
ফরমালিন/ফরমালডিহাইড খাদ্যদ্রব্য, মাছ-মাংস, সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়। পরিপাকতন্ত্র বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এটি সহজেই ব্রেন, লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে গ্যাস্ট্রাইটিস, চোখে ও নাকে জ্বলুনি, হাঁপানি, ব্রংকাইটিস, নাক ও খাদ্যনালীর ক্যানসার, ব্লাড ক্যানসার ইত্যাদি হতে পারে।

কীটনাশক: 
মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করলে ব্যাবহারকারী কৃষক বা ওইসব খাদ্য যে খাচ্ছে তার বিপদ হলো-

অরগানো-ক্লোরিন্স: বিভিন্ন স্নায়ুবিক সমস্যা- যেমন মুখের চারপাশের বোধশক্তি কমে যাওয়া, আলো-শব্দ-স্পর্শে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা, মাথা ঘোরানো, হাত-পা ফোলা, বমি, স্মৃতি ভ্রংশ ইত্যাদি।

অরগানো ফসফরাস ও কার্বোনেটস: অতিরিক্ত লালা ক্ষরণ, বেশি ঘাম হওয়া, চোখে কম দেখা, বমি ভাব, পাতলা-পায়খানা, নিম্ন-রক্তচাপ, দুর্বলতা, অবশতা ইত্যাদি।

পাইরিথ্রাইডস: অস্বাভাবিক উত্তেজনা ও আগ্রাসী আচরণ, সারা শরীর কম্পন ও অনিয়ন্ত্রিত আচরণ, খিঁচুনি, অ্যালার্জি, ক্যানসার, জন্মগত শারীরিক ত্রুটি, এন্ডোক্রাইন সমস্যা- যেমন ডায়াবেটিস।

হার্বিসাইডস: যেমন ডায়ক্রিন থেকে জন্মগত শারীরিক ত্রুটি, ক্যানসার, লিভারের অসুখ, ডায়াবেটিস হতে পারে। পরিবেশ ও পানি দূষণের কারণে জলজ ও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যেও বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে।

বাঁচার উপায় কী:  

* আজকাল ক্ষতিকর কেমিক্যাল ও কীটনাশক ব্যাবহারমুক্ত অর্গানিক শাকসবজি, ফলমূল, অন্যান্য কৃষিজ পণ্য বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, যা আমাদের অনেকটাই আশংকামুক্ত রাখে।  তবে উৎপাদন খরচ বেশি বলে বাজারে এগুলোর দামও বেশি।

* শাকসবজি-ফলমূল খাবার হিসেবে খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। অনেক ক্ষেত্রে ভিনেগার, লবন-পানি ব্যবহার করা যায়। তবে  সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে যদি সোডিয়াম-বাই-কার্বনেট বা খাবার সোডা ও অ্যাকটিভেটেড কার্বনের নির্দিষ্ট মাত্রার মিশ্রণের পানিতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে তারপর ভালোভাবে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নেন।

* বাজারে ‘কার্বন গ্রিন’ নামে এই পাউডার বেশ কম দামেই পাওয়া যাচ্ছে। যা খাদ্যদ্রব্যের গায়ে লেগে থাকা বিষ থেকে আমাদের সহজেই মুক্তি দিতে পারে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন http://www.lhcarbongreen.info/ ওয়েবসাইটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
এসএনএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।