আজকাল ঈদের শপিং মানেই ঝকঝকে পরিষ্কার, ময়লা-কাদামুক্ত ঝকঝকে শপিং মল কিংবা দেশি ফ্যাশন হাউসগুলোতে কেনাকাটার পাট চুকিয়ে ফেলা। এখন সেই আগের মতো রোদে পুড়ে বা কাদা পানি মাড়িয়ে, ভিড় ঠেলে কেনাটার দিন নেই।
শপিংয়ের জন্য পোশাক নির্বাচন
অযথা সাজগোজ না করে বরং স্বাভাবিক পোশাক পরুন। হালকা কাজের সুতির পোশাক এ সময় শপিংয়ের জন্য বেশি আরামদায়ক। সাথে বাচ্চাদের না নেওয়াই ভালো, তবে প্রয়োজন হলে তাদেরও হালকা কটনের জামা পরিয়ে নিন। বাচ্চা জন্য পানি, পাখা ও হালকা খাবারও রাখতে পারেন সাথে। প্রয়োজনে সাথে নিতে পারেন বেবি কার্ট । হাই হিল পরবেন না একদমই। ফ্যাট জুতা-স্যাণ্ডেলই শপিংয়ের জন্য বেশি উপযোগী।
লক্ষ্য রাখুন
* শপিংয়ে যাবার আগে প্রয়োজনীয় পণ্যের একটি তালিকা করে ফেলুন । এতে কম সময়েই আনেক প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা সম্ভব হবে।
* ঠিক করে নিন কাকে কেমন দামের মধ্যে পোশাক ও আনুষঙ্গিক জিনিস কিনে দেবেন। এতে করে অযথা ঘোরাঘুরির পেছনে সময় নষ্ট হবে না।
* এ সময়ে মার্কেট এবং শপিং মলগুলোতে একটু বেশি ভিড় থাকে। তাই বেশি খুঁতখুঁত করা যাবে না। কম সময়ের মধ্যেই কিনে ফেলতে হবে পছন্দের জিনিসটি। আবার হুট করে ট্রেন্ডি মনে হলেই কোনো কিছু কিনে ফেলা ঠিক হবে না। কেনার আগে পরখ করে নিন তা আপনার বা প্রিয়জনের ব্যক্তিত্বের সাথে যায় কিনা।
* মোটামুটি বাজেট থাকলে ছোটখাট দোকানে না গিয়ে ভালো এবং বড় কোনো শপিং মল বা মার্কেটে চলে যাওয়াই ভালো । এতে ভালো পণ্য পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিভিন্ন ব্রান্ডের জিনিস একসাথে এক জায়গাতেই পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে, বিশেষ করে উৎসবের সময় ডিসকাউন্টও পাওয়া যায। ফলে পছন্দের জিনিস কমসময়ে এবং তুলনামূলক সুলভ দামে কেনা যায়।
* কেনার সময়ে ভালো করে জিনিসটি পরখ করে কিনুন। রঙ, সেলাই, মান এবং দাম ভালো করে দেখে নিন। কোনো সমস্যা থাকলে বদলে নিন। দাম কম হলেও কোনো অরুচিকর এবং বেশি পুরাতন জিনিস উপহারের জন্য কিনবেন না ।
* কেনাকাটা শেষে বিল দেবার পর, বিলের তালিকার সাথে জিনিসের সংখ্যা মিলিয়ে নিন। এতে ভুল হবার সম্ভাবনা থাকে না।
* বিল রিসিট ফেলে না দিয়ে কিছুদিন রেখে দিন। হঠাৎ কোনো জিনিস বদলানোর সময় কাজে লাগবে। পণ্যের সাথে ডিসকাউন্ট বা মেম্বারশিপ কার্ড পেলে যত্নসহকারে সংরক্ষণ করুন । এতে পরে ওই দোকানে কেনাকাটায় পেতে পারেন বিশেষ ছাড় ।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ০০১৫, আগস্ট ২০, ২০১০