ভেজা বা ব্যবহৃত ডায়াপার বেশিক্ষণ পরিয়ে রাখলে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণে শিশুর শরীরে র্যাশ হতে পারে। শিশুর জন্য র্যাশ খুবই অস্বস্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক।
নারিকেল তেল
ডায়াপার র্যাশের জন্য নারিকেল তেল সবচেয়ে নিরাপদ প্রাকৃতিক উপাদান। এই তেল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিভাইরাল হওয়ায় র্যাশের চিকিৎসায় সাহায্য করে। শিশুর ত্বক নরম ও আর্দ্র রাখে।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা বা সোডিয়াম বাইকার্বোনেট শিশুর ত্বকের পিএইচ-এর ভারসাম্য ঠিক রাখতে পারে। ডায়াপার র্যাশের সাধারণ সমস্যা যেমন ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস প্রতিহত করে।
টি-ট্রি অয়েল
এন্টিসেপ্টিক গুণের কারণে ত্বকের সমস্যায় টি-ট্রি অয়েল ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান থাকায় শিশুর ডায়াপার র্যাশ সারিয়ে তুলতে চমৎকারভাবে কাজ করে।
ইপসম লবণ
ম্যাগনেসিয়াম সালফেট বা ইপসম লবণের শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী উপাদান থাকে। ত্বকের জালাপোড়া ও অস্বস্তি সারিয়ে তোলে। একইভাবে র্যাশের চিকিৎসায়ও ভালোভাবে কাজ করে।
আপেল সাইডার ভিনেগার
আপেল সাইডার ভিনেগার প্রধানত অ্যাসেটিক অ্যাসিড দিয়ে গঠিত যা প্রাকৃতিকভাবেই সংক্রামক বিরোধী। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান ডায়াপার র্যাশের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।
দই
দই হলো প্রদাহবিরোধী উপাদান এবং প্রাকৃতিকভাবেই ইস্ট ও মাইক্রোবায়াল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে। বাড়িতেই র্যাশ প্রতিকারে এটি তাই কার্যকরী উপাদান।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার প্রদাহবিরোধী গুণ থাকায় শিশুর ত্বকের প্রদাহ ও অস্বস্তি কমায়। এর অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান ডায়াপায় র্যাশের ব্যাকটেরিয়া মারে।
পেট্রোলিয়াম জেলি
প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার পেট্রোলিয়াম জেলিতে প্রদাহবিরোধী উপাদান থাকে, যা ডায়াপার র্যাশ সারায়। এটি শিশুর ত্বকে জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিহত করে।
বুকের দুধ
বুকের দুধ ডায়াপার র্যাশের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ। বুকের দুধ শিশুর ইমিউন সিস্টেম বাড়ায় ও বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
এমএসএ/এমজেএফ