বিশেষজ্ঞরা বলেন, রক্তদানের ফলে রক্তদাতার শারীরিক কোনো ক্ষতি হয় না। রক্তের লোহিত কণিকার আয়ু ১২০ দিন।
তবে রক্তদানের ক্ষেত্রে রক্তদাতার কিছু শারীরিক বিষয় লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন:
• রক্তদাতাকে শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে
• রক্তদাতার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে
• রক্তদাতার ওজনহতে হবে কমপক্ষে ১১০ পাউন্ড
• রক্তদাতার রক্তচাপের দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। খুব বেশি বা খুব কম কোনটিই রক্তদানের ক্ষেত্রে সহায়ক নয়
• কোনো রোগের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সেবনরত থাকলে সেক্ষেত্রে রক্তদান করা উচিত নয়
• নারীরা মাসিক চলাকালীন বা গর্ভাবস্থায় রক্তদান করতে পারবেন না।
• রক্তদানের কাছাকাছি সময়ে কোনও বড় দুর্ঘটনা বা অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে রক্তদান না করা বাঞ্ছনীয়
• রক্তের হিমোগ্লোবিন ১১-এর নিচে হলে রক্ত দেওয়া ঠিক নয়। এতে করে হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, ক্লান্ত লাগা, চোখে ঝাঁপসা দেখা, মাথা ঘোরাসহ অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন।
এছাড়াও খেয়াল রাখতে হবে যে, এক ব্যাগ রক্তদানের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়া দরকার। রক্তদানের পর দুই গ্লাস পানি বা জুস খেলে রক্তের জলীয় অংশটুকু পূরণ হয়ে যায়।
এরপর পর্যাপ্ত পানি ও জুস পান করতে হবে, সেই সঙ্গে ৮ঘণ্টা ঘুম। খাবারে কলিজা, বিভিন্ন ধরনের কচু, ডিম, দুধ রাখতে হবে।