ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ধামরাইয়ে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
ধামরাইয়ে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

ঢাকা: ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় সাদিয়া আক্তার (১৮) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থার তার মৃত্যু হয়।

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বাংলানিউজকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বাকি দুজনের শারীরিক অবস্থাও গুরুতর।

এর আগে শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে ধামরাই উপজেলার কুমড়াইল কবরস্থানের সংলগ্ন দোতলা বাড়ির নিচ তলায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন- জোছনা বেগম (২৫) ও তার স্বামী গার্মেন্টস কর্মী মনজুরুল (৩২) তার মেয়ে মরিয়ম (১.৫), বোন হোসনা (৩০) এবং আরেক বোনের মেয়ে সাদিয়া (১৮)।

এর আগে শনিবার (৭ জানুয়ারি) দিনগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় দগ্ধ শিশু মরিয়ম। মঙ্গলবার ভোরে মারা যান মরিয়মের মা জোছনা বেগম।

দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মো. নিজাম শেখ ঘটনার দিন জানান, শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোরে বিকট শব্দে তার ঘুম ভাঙে। পরে তিনি ভবনের নিচ তলা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন। পরে সেখানে গিয়ে দেখেন, বাসার ভেতর পাঁচজন দগ্ধ অবস্থায় কাতরাচ্ছেন। আর আগুনে বিছানার কিছুটা অংশ পুড়ে গেছে। এ সময় তাদের দ্রুত উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

নিহত সাদিয়ার স্বজনদের ধারণা, ভোরে রান্নার জন্য উঠে আগুন জ্বালানোর পর লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ হয়ে তারা দগ্ধ হয়েছেন।

সাদিয়ার মামা কামাল হোসেন জানান, কিশোরগঞ্জ ভৈরব উপজেলায় মামার বাসায় থাকতেন সাদিয়া। উপজেলার জিল্লুর রহমান কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। তার বাবার নাম মকবুল হোসেন। ধামরাইয়ে খালা জোছনার বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
এজেডএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।