ঢাকা: চলতি বছরে দেশে কাঁচাপাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৯০ লাখ বেল এবং কাঁচাপাট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১৫ লাখ বেল নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, চলতি বছরে ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশে কাঁচাপাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৯০ লাখ বেল নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া কাঁচাপাট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১৫ লাখ বেল নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সারা দেশের ৪৫ জেলার ২২৭টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৫ লাখ আশি হাজার পাটচাষিকে বিনামূল্যে ৫৮০ মে. টন উফশী জাতের প্রত্যায়িত পাটবীজ, সার, কীটনাশক ও কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, তাঁত শুমারি, ২০১৮ অনুযায়ী দেশে মোট তাঁত সংখ্যা ২,৯০,২৮২টি (পাওয়ারলুম ব্যতীত)। বিবিএস-এর তাঁত শুমারি অনুযায়ী, বাগেরহাট, চাদপুর, লক্ষ্মীপুর ও ভোলা জেলা ব্যতীত দেশের সকল জেলাতে কম-বেশি তাঁত রয়েছে। তবে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, কুড়িগ্রাম, রংপুর, কুষ্টিয়া, নরসিংদী, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছি সিলেট, মৌলভীবাজার ও বগুড়া জেলায় তুলনামূলকভাবে বেশি তাঁত রয়েছে। তাঁত শুমারি, ২০১৮ অনুযায়ী, তাঁত শিল্পে বছরে প্রায় ৪৭.৪৭৪ কোটি মিটার (পাওয়ারলুম ব্যতীত) তাঁতবস্ত্র উৎপাদিত হয়, যা দেশের মোট বস্ত্র চাহিদার শতকরা প্রায় ২৮ ভাগ তাঁত শিল্প থেকে পূরণ হয়ে থাকে (পাওয়ারলুম ব্যতীত)।
আওয়ামী লীগের দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের উত্তরে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকার কাঁচাপাট রপ্তানির ওপর কোনো শুল্ক আরোপ করেনি। তবে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো বিভিন্ন পাটকলে উৎপাদিত পাটপণ্যের ওপর ভারত সরকার গত বছর ৩০ ডিসেম্বর থেকে পাটকল ভেদে ১৯,৩০ থেকে ৩৫১.৭২ মার্কিন ডলার পর্যন্ত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে। ওই অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
এসকে/এমজেএফ