ঢাকা: সরকার পক্ষের সঙ্গে টানা ছয় ঘণ্টার মিটিংয়ে মূল বেতনের (বেসিক) ৬০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কারণে নৌযান শ্রমিকরা ধর্মঘট থেকে সরে এসেছেন।
২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন মজুরি ঘোষণা না হলে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নৌযান শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বুধবার সরকার পক্ষের সঙ্গে টানা ছয় ঘণ্টার মিটিংয়ে মূল বেতনের (বেসিক) ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। এরপর তারা নৌধর্মঘটে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ভূইয়া বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার নৌ মন্ত্রণালয়ে সচিবের সঙ্গে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মিটিং হয়েছে। সেখানে বেসিকের ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। ২০২২ সালের নভেম্বর থেকেই তা কার্যকর হবে। এছাড়া মেডিকেল অ্যালাউন্স এক হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৩০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়। বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য খাতে বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে বাড়বে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমরা ধর্মঘট করছি না।
তিনি জানান, গত ২৮ নভেম্বর সরকারের আশ্বাসের পর আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করি।
নৌযান শ্রমিকরা জানান, ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ও কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ২৭ নভেম্বর থেকে সারাদেশে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা।
সংকট নিরসনে ২৮ নভেম্বর মালিক, শ্রমিক ও সরকারের সমন্বয়ে ত্রি-পক্ষীয় সভা হয়। সেই সভায় এক হাজার টনের বেশি জাহাজের শ্রমিকদের নভেম্বর থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ভাতা এবং এর চেয়ে বেশি পণ্যবাহী জাহাজের শ্রমিকদের এক হাজার ৫০০ টাকা মাসিক ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া বেতন কাঠামো গঠনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। এক মাসের মধ্যে কমিটি শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করার সিদ্ধান্তের পর শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
এমআইএইচ/এসআইএস