ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মানবাধিকার সম্মুন্নত রেখে দেশের নিরাপত্তায় কাজ করছে র‌্যাব 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৩
মানবাধিকার সম্মুন্নত রেখে দেশের নিরাপত্তায় কাজ করছে র‌্যাব 

গোপালগঞ্জ: র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেছেন, আমাদের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছিল। তারা যে সমস্ত বিষয়ে জানতে চেয়েছে আমরা যথাযথভাবে সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়েছি ডকুমেন্টসসহ।

সে সব তারা পর‌্যালোচনা করছে।  

পাঁচ মাস হলো আমি র‌্যাবের দায়িত্ব নিয়েছি। এর পর থেকে মানবাধিকার সম্মুন্নত রেখে এই দেশের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে এই বাহিনী।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
 
র‌্যাব প্রসঙ্গে ডিজি বলেন, র‌্যাব হলো অ্যালিট ফোর্স। সমস্ত বাহিনী থেকে চৌকস অফিসারদের বেছে নিয়ে এই বাহিনী তৈরি করা হয়েছে। র‌্যাবের মূল স্লোগান হলো “বাংলাদেশ আমার অহংকার”। আমরা কাজ করি দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন ভালোবেসেছেন দেশ ও দেশের মানুষকে। আমরা সেই আদর্শকে লালন করে দায়িত্ব পালন করে যাই। হ্যাঁ, কাজ করতে গেলে কিছু ত্রুটি হতেই পারে, দেখতে হবে পার্সেন্টেন্স কত সেখানে। সামান্য কিছু দুর্ঘটনা হয়তো ঘটেছে, সেটা হয়তো শতকরা এক ভাগের নিচে হবে অথবা শতকরা ৫ ভাগও হতে পারে সেটা শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই হয়।  

র‌্যাবের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মাদক ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করা। ২০১৬ সালে যখন জঙ্গিবাদের শুরু হলো, শুরু হয়েছিলো মূলত ২০০৫ সালে জোট সরকারের আমলে। সেই বাগমারা রাজশাহী, আত্রাই, নওগাঁ থেকে বাংলা ভাই সিদ্দিকুর রহমান। আপনারা সব ইতিহাস জানেন।  

সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই জঙ্গিবাদকে নির্মূল করা হয়েছে, যেখানে সাংবাদিকদের একটা বড় ভূমিকা ছিল। সাংবাদিকদের আমরা আমাদের তদন্তের একটা অংশ মনে করি। সাংবাদিকদের তথ্য আমাদের কাজে লাগে। সাংবাদিকদের কখনো আমরা প্রতিপক্ষ ভাবি না। তাদের আমরা সহযোগী মনে করে কাজ করি।

মাদক মির্মূল প্রসঙ্গে র‌্যাব ডিজি বলেন, সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মাদক। এই মাদক নির্মূল করতে হলে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সম্ভব না। শুধুমাত্র মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পারবে না। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে এটা বন্ধ করতে হবে। জাতিকে যদি মাদক দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। তাহলে পরবর্তীকালে কারা দেশ পরিচালনা করবে। এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আমরা সবাই মিলে সমাজকে সচেতন করি, যাতে আমরা এই সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করতে পারি।

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে র‌্যাব ডিজি বলেন, সামনে নির্বাচন আসছে। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে একত্রিত হয়ে আমরা কাজ করবো। আমরা চাই সুষ্ঠু সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। দেশের গণতান্ত্রিকধারা অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। আমরা সেটা বিশ্বাস করি এবং আমরা সেভাবে কাজ করে যাবো।  

প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন, আমাকে প্রথম ধাপে উন্নীত করেছেন, আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। উনার আস্থার ফলাফল দেওয়ার জন্য আমার বাহিনী প্রস্তুত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এর আগে র‌্যাবের মহাপরিচালক জাতির পিতার সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পন করে গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলামসহ র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।