হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর তৈরি করতে ১৪৭ একরের বেশি জমি উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৫৭ কোটি ৬২ লাখ ১৭ হাজার ৮৮ টাকা।
জেলার ৯টি উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য কাঁচা-পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে অবৈধ দখলদারদের কবলে থাকা ১৪৭ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ১৪৭ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। সদর উপজেলার পইল ইউনিয়নে ভূমি উদ্ধারের সময় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করবেন। পরে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
আগামী বুধবার (২২ মার্চ) চতুর্থ ধাপে জেলায় আরও ৮১৫ পরিবার ঘর পেতে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে জেলায় মাথাগোঁজার ঠাঁই পাওয়া পরিবারের সংখ্যা হবে ২ হাজার ৮৫৬টি।
এ ধাপের প্রতিটি ঘর নির্মাণ করতে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা করে ব্যয় হচ্ছে। উপকারভোগীদের নামে ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার পর তাদের এ ঘর দেওয়া হচ্ছে।
আগে প্রথম পর্যায়ে ৭৮৭টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৫৫ ও তৃতীয় পর্যায়ে ৮৯৯টি ঘর দেওয়া হয়। আরও ৮১৫টি হস্তান্তর করলে হবিগঞ্জে ঘর পাওয়া পরিবারের সংখ্যা হবে ২ হাজার ৮৫৬টি।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা পাল এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, জেলার ৯ উপজেলায় ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা ৩ হাজার ২৪৬টি। তাদের সবার জন্যই ঘর বরাদ্দ হয়েছে। চতুর্থ দফায় ৮১৫টি হস্তান্তর করলে আর মাত্র ৪৩০টি ভূমিহীন পরিবার থাকবে।
চতুর্থ দফায় ঘর হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে জেলার নবীগঞ্জ, বানিয়াচং ও চুনারুঘাট উপজেলায় কোনো ভূমিহীন পরিবার থাকবে না। এ উপজেলাগুলোকে ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৩
এসআই