টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর সাব-রেজিস্ট্রারকে ঘুষের টাকা ফেরত দিতে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন আব্দুল বারী মিয়া নামে এক সেবাপ্রার্থী।
গত ১৩ মে অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন খান কাপাশ স্বাক্ষরিত একটি উকিল নোটিশ ভুঞাপুর সাব-রেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথকে দেওয়া হয়।
উকিল নোটিশে জানা গেছে, ভুঞাপুর পৌরসভার ঘাটান্দি এলাকার মৃত নছর আলীর ছেলে আব্দুল বারী মিয়া পাওয়ার অ্যাটর্নি দলিল রেজিস্ট্রি করার জন্য একটি দলিল দাখিল করেন সাব-রেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথের কাছে। পরে সাব-রেজিস্ট্রার জমির দলিল দেখে অন্য পক্ষ থেকে অভিযোগ আছে জানিয়ে টাকা দাবি করেন। এসময় বারী মিয়ার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন সাব-রেজিস্ট্রার অঞ্জনা দেবনাথ। পরে সাত লাখ টাকায় দলিল করার চুক্তি হওয়ার পর টাকা পরিশোধ করেন বারী মিয়া। কমিশন দলিল করে দেওয়ার জন্য সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারী জুয়েল পরে গত ৩ মে বারী মিয়ার বাসায় গিয়ে দাতাদের টিপ স্বাক্ষর নেন। কিন্তু পরে তার দলিল হয়নি। অন্য দিকে গত ৩ মে প্রতিপক্ষ দাতা ফেরদৌস হোসেন খান গং এবং গ্রহিতা খায়রুল ইসলাম তালুকদার গংকে ১৪৩০ নম্বর রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয় এবং বারী মিয়ার ১৪৩০ নম্বর দলিল বাতিল করে ১৪৩১ নম্বর করা হয়। ফলে তিনি প্রতারিত হওয়ায় গত ১৩ মে ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে নোটিশ পাঠান।
সেবাপ্রার্থী জানান, ভুঞাপুর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের অফিস সহকারী জুয়েল ও সিরাজের মাধ্যমে দলিল সম্পাদনের ঘুষের টাকা লেনদেন করেন সাব-রেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী। দলিলের ওপর নির্ভর করে টাকা লেনদেনের পরিমাণ। কয়েক বছর ধরে সিরাজ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে কাজ করার সুবাদে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন।
ভুক্তভোগী বারী মিয়া আরও জানান, দলিল করার জন্য সাব-রেজিস্টারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী টাকা দিলেও তিনি আমার দলিল করেননি। পরে ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি। এখনও কোনো টাকা পয়সা ফেরত পাইনি।
অভিযোগের বিষয়ে ভুঞাপুর সাব-রেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো বক্তব্য দেওয়া নিষেধ। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না।
জেলা রেজিস্ট্রার মো. মাহফুজুর রহমান খান বলেন, টাকা ফেরত চেয়ে উকিল নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
এসআই