ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটে বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির জনককে স্মরণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
সিলেটে বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির জনককে স্মরণ

সিলেট: যথাযোগ্য মর্যাদায় সিলেটে পালিত হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। ফুলেল শ্রদ্ধায় শোভিত হয় সিলেট জেলা প্রশাসনে স্থাপিত জাতির জনকের ম্যুরাল।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টায় সিলেট জেলা প্রশাসন ও সিলেট জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। একে একে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগসহ প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জেলা প্রশাসন চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শোককে শক্তিতে পরিণত করার প্রত্যয় নিয়ে শ্রদ্ধাবশত হয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করছে সিলেটের সর্বস্তরের মানুষ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

শোক দিবসে যোহর শাহজালাল (র.) মাজার মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তার পক্ষ থেকে হযরত শাহজালাল (র.) ও শাহপরান (র.) দরগাহে গণভোজের আয়োজন করা হয়।

১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম এক কলঙ্কিত অধ্যায় সংঘটিত হয়েছিল। ৪৭ বছর আগে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল বিপথগামী ক্ষমতালোভী কুচক্রী মহল।

বঙ্গবন্ধু ছাড়াও ১৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির বাড়িতে তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে তার জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হককে হত্যা করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মনির বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নীপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় হামলা করে তাকে ও তার কন্যা বেবী, ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং আত্মীয় রেন্টু খানকে হত্যা করা হয়।

বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার, নিকটাত্মীয়সহ ২৬ জনকে ওই রাতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তারা প্রাণে বেঁচে যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
এনইউ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।