ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

দরজায় তালা মেরে ঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ, তিন শিশুসহ দগ্ধ ৫

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
দরজায় তালা মেরে ঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ, তিন শিশুসহ দগ্ধ ৫

ঢাকা: ঢাকার দোহারে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে স্বামী-স্ত্রী ও তিন শিশু দগ্ধ হয়েছেন। পরিবারটির অভিযোগ, তাদের ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

তাদের পাঁচজনকেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত ৩টার দিকে দোহার উপজেলার মোকশেদপুর ইউনিয়নের দিতপুর গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এ তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।

দগ্ধরা হলেন প্রবাসফেরত জুলহাস শেখ (৫৩), তার স্ত্রী ফাহিমা আক্তার (৩৫), ছেলে জুনায়েদ আহমেদ (৮), মেয়ে জান্নাত (১৩) ও ভাতিজি তাবাসসুম আক্তার (১০)।

জুলহাসের ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, সোমবার দিবাগত রাতে নিজের ঘরে ঘুমিয়েছিল জুলহাসের পরিবার। রাত ৩টার দিকে তাদের সেই ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা লাগানো ছিল। তখন ঘরের পেছনের একটি দেয়াল ভেঙে তাদের বের করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখান থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার কিছু আগে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

দগ্ধ ফাহিমা আক্তার জানান, মধ্যরাতে যখন তাদের ঘরে আগুনের আঁচ পান, তখন বাচ্চাদের নিয়ে তিনি বাথরুমে ঢুকে পড়েন। সেখানেই পানির কল ছেড়ে বসেছিলেন। পরে দেয়াল ভেঙে তাদের বাইরে বের করা হয়। তবে ধোঁয়ায় তাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এছাড়া ফাহিমার মুখমন্ডল ও হাতে সামান্য দগ্ধ হয়।

দগ্ধ জুলহাস জানান, কিছুদিন আগে তাদেরই দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়কে জুলহাসের ছোট ভাই নিজের বাড়িতে রেখেছিলেন। তবে সে যুবক মাদকাসক্ত ছিল। কিছুদিন আগে তাকে এই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর গত চার দিন আগেও কে বা কারা তাদের কয়েকটি ঘরে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে রেখে যায়। ওই রাতেই বাড়ির পাশ থেকে কয়েক গ্যালন পেট্রোল উদ্ধার হয়। তাদের ধারণা, ওই যুবকই রাতে ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানান, জুলহাসের মুখমন্ডলের ৩ শতাংশ আর তার স্ত্রী ফাহিমার ৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া সবারই শাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে জুলহাসকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
এজেডএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।