ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সদুত্তর না পেলে আইনি ব্যবস্থা, আনার হত্যায় আটক মিন্টু প্রসঙ্গে হারুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৪
সদুত্তর না পেলে আইনি ব্যবস্থা, আনার হত্যায় আটক মিন্টু প্রসঙ্গে হারুন

ঢাকা: সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে।

ডিবির কাছে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত রয়েছে।

সেই তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে মিন্টু যদি সদুত্তর দিতে না পারেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বুধবার (১২ জুন) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

হারুন অর রশীদ বলেন, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর কাছে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিচার বিশ্লেষণের পরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে ডাকা হয়েছে। মিন্টুর কাছে তথ্যগুলো জানতে চাওয়া হবে।  

তিনি বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে যদি মিন্টু সদুত্তর দিতে পারেন, তবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর যদি কোনো প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারেন, তদন্তের ধারাবাহিকতায় যা করার, তা-ই করা হবে।

মিন্টুকে গ্রেপ্তার না দেখিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। সেই তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে মিন্টু যদি কোনো সদুত্তর দিতে না পারেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে আমরা নিয়ে আসি। আমরা যখন কাউকে নিয়ে আসি, অবশ্যই কিছু তথ্য-উপাত্ত থাকে। প্রমাণের ভিত্তিতেই তাকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করি।  

জিজ্ঞাসাবাদে গ্যাস বাবু অকপটে শিকার করেন, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেওয়া ঘাতক শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছিল। শিমুল ভূঁইয়া তাকে এমপি আনারকে হত্যার পর ছবি দেখান।

১৬ মে হত্যাকাণ্ডের তথ্য ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ও গ্যাস বাবু যদি জেনে থাকেন, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কেন জানালেন না, এমন প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে হারুন বলেন, হ্যাঁ এটি সঠিক। কেন তারা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা গোপন করলেন, তা জানতে চাওয়া হবে।

এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত দুই রাজনীতিকের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন। এমন আরও কতজনের সম্পৃক্ততা রয়েছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে হারুন অর রশীদ বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক গ্যাস বাবু রিমান্ডে রয়েছেন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ছাড়া অনেকের সম্পর্কে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। ধীরে এগোচ্ছি। এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, যারা নির্দেশ দিয়েছেন এবং এর সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এটিও বলে রাখতে চাই, কারো প্ররোচনায় কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিতে কোনো হয়রানি করা হবে না।

তদন্তকারী কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে প্রতিটি মামলার ঘটনা তদন্ত করে জানিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করে না। কারণ তারা জানে, ডিবির প্রতিটি চৌকস দল মামলার তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধী দেশে কিংবা বিদেশে থাকলেও খুঁজে বের করে আনে। কোনো নিরীহ লোককে হয়রানি করার প্রশ্নই আসে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৪
পিএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।