মৌলভীবাজার: ‘চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের আমাদের চা এর লক্ষ্যমাত্রা ১০৮ মিলিয়ন (১০ কোটি ৮০ লাখ) কেজি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অর্ধেক বছর চলে গেল।
রোববার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের (বিটিবি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে। গত বছর দেশের ১৬৮টি বাগান ও ক্ষুদ্রায়তন চা-চাষিদের হাত ধরে ১০২ দশমিক ৯২ মিলিয়ন (১০ কোটি ২৯ লাখ) কেজি চা উৎপাদিত হয়েছিল। যা দেশে চা এর ইতিহাসে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ রেকর্ড।
দেশে চা এর চাহিদার কথা উল্লেখ করে বিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দেশে অভ্যন্তরীণ চায়ের চাহিদা রয়েছে নয় কোটি ৫০ লাখ কেজি। সেখানে আমরা এখন উৎপাদন করছি ১০ কোটি ৩০ লাখ কেজি। এজন্য চায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
বিদেশে চা রপ্তানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্ল্যাক-টি, গ্রিন-টি, অর্থডক্স-টিসহ আরও মূল্যবান কোয়ালিটির চা আমরা রপ্তানি করছি। আমরা ২০২৩ সালে এক দশমিক আট মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করতে পেরেছি। এখন আমাদের আরও বেশি চা বিদেশে যাচ্ছে। ছয় মাস পর পর আমরা একটি প্রসেস মেইনটেইন করে এটা করছি। চলতি বছর এ পর্যন্ত আমরা প্রায় এক মিলিয়নের মতো চা রপ্তানি করতে পেরেছি। আমার বিশ্বাস, ২০২৪ সালে আমরা দুই দশমিক পাঁচ মিলিয়ন থেকে প্রায় তিন মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করতে পারবো। এর পরের বছরগুলোতে আমাদের টার্গেট ১০ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করা। ’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মো. ইসমাইল হোসেন এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২৪
বিবিবি/আরআইএস