ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জামিনে কারামুক্ত হলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইসমাইল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
জামিনে কারামুক্ত হলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইসমাইল

ময়মনসিংহ: দ্বিতীয় স্ত্রীর মায়ের দায়ের করা একটি মামলায় ২০দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি হয়েছেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. ইসমাইল হোসেন (৩৫)। এতে তার পরিবার, সহকর্মী ও ভক্ত-অনুসারিদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় তিনি ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারামুক্তি লাভ করেন।  

এর আগে দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতে মামলার শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক মমতাজ বেগম এই অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।  

এদিকে জামিন লাভের পর কারা ফটকে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তার সহকর্মী ও স্বজনরা। এ সময় অভিনেতা মো. ফিরুজ আলম, ইসমাইলের ছোট ভাই এনামুল হকসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট একেএম মইনুল হক মিলন বাংলানিউজকে জামিনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাদির অভিযোগের সঙ্গে ভিকটিমের জবানবন্দি সাংঘর্ষিক। মূলত ভিকটিম ইসমাইলের দ্বিতীয় স্ত্রী। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একটি মহলের প্ররোচনায় এই মামলাটি দায়ের হয়েছে। তবে মামলার শুনানি শেষে আদালতে বিজ্ঞ বিচারক তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন।

ইসমাইলের ছোট ভাই এনামুল হক বলেন, মিথ্যা ঘটনায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলাটি করা হয়েছিল। পরে ভিকটিম আদালতে এসে তার জবানবন্দিতে নিজেকে ইসমাইল ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী স্বীকার করেছে। এর মধ‍্য দিয়ে আমরা প্রাথমিকভাবে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আশা করছি মামলার চূড়ান্ত রায়েও ন্যায়বিচার পাব।

ইসমাইলের জামিনে উচ্ছ্বসিত সহকর্মী মো. ফিরুজ আলম বলেন, ইসমাইল ভাই জামিনে মুক্ত হওয়ায় আমরা খুশি। এখন দেশবাসী ইসমাইল ভাইয়ের আর ভালো ভালো কনটেন্ট ভিডিও দেখতে পারবে বলে আশা করছি।  

এ সময় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে কারামুক্ত ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি একটি বিয়ে করেছিলাম। ষড়যন্ত্র করে আমাকে মামলা দেওয়া হয়েছিল। এখন জামিনে মুক্ত হয়েছি, শরীর ও মন কোনোটাই ভালো নেই। আমার জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।  

এর আগে গত ১০ জুলাই ভিকটিম কিশোরীর মা বাদী হয়ে ইসমাইলকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ওইদিনই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে।  

প্রসঙ্গত, আলোচিত ঈসমাইল হোসেন হালুয়াঘাট উপজেলার কালিয়ানীকান্দা গ্রামের বাসিন্দা মো. সুরুজ আলীর ছেলে। তার দাম্পত্য জীবনে প্রথম স্ত্রীসহ দুটি সন্তান রয়েছে।   

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।