‘আমি ফ্রক, সালোয়ার-কামিজ, ছোট বাচ্চার প্যান্ট, গোল জামা, টেপ বানাবার পারি। গ্রামে এগুলো বানাইলে ৬০ টাকা থেকে শুরু করে প্রতি পিস ২০০ টাকা পর্যন্ত কামাই করা যায়।
কথাগুলো বলছিলেন উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ভাটিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মোর্শেদা খাতুন।
সম্প্রতি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, চিলমারী ও উলিপুর উপজেলায় তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে ৬০ জন অসচ্ছল নারীর হাতে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন তুলে দিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ।
সেই ৬০ জনের মধ্যে রয়েছেন বিধবা মোর্শেদা খাতুনও।
বিয়ের ১০ বছর পর স্বামী মারা যান মোর্শেদার। এক মেয়ে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে কোনো রকমে দিন পার করছেন এই বিধবা নারী।
মোর্শেদা খাতুন বলেন, ‘আমি আগে থেকেই সেলাইয়ের কাজ করতাম। কাঁথা সেলাই করতাম। কিন্তু মেশিন না থাকার কারণে বেশি কাজ করতে পারি না। গ্রামে হাতের কাজের চাহিদা অনেক। সবাই টেইলার্সে কাজ করাতে যেতে পারে না। অনেক মেয়ে মানুষ আছে লজ্জায় টেইলার্সে যেতে পারে না। এখন এই সেলাই মেশিন আমি বাড়িতে বসাব। তখন কাজ আসবে। ’
তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ গ্রামের মহিলারা আসবে কাজ নিয়ে। আমি মনে করি এই কাজ করে আমার বাড়তি আয় হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৪
এসএএইচ