মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ১৩ বছরের কিশোরী স্বর্ণা দাস নিহতের ঘটনায় নিন্দা ও তীব্র সমালোচনা জানিয়েছে সাধারণ সনাতনী পেশাজীবী ফোরাম (সাসপেফো)।
অপরাধী সন্দেহে সীমান্তে এলোপাতাড়িভাবে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করা, আহতসহ লাশ হস্তান্তরে বিলম্ব করা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করারও তীব্র সমালোচনা করেন ফোরামের সদস্যরা।
সেই সঙ্গে তারা দাবি জানান, ভারত সরকার যেন নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে বিচারবহির্ভূত হত্যার দায়ে বিএসএফ সদস্যদের মধ্যে যারা প্রত্যক্ষ এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা ও সাজা নিশ্চিত করে সুবিচার করে। সেই সঙ্গে নিহতের পরিবারকে যেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
জানা যায়, কিশোরী স্বর্ণা তার মা সঞ্জিতা রানী দাসের সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে থাকা বড় ভাইকে দেখতে ১ সেপ্টেম্বর (রোববার) রাতে কুলাউড়ার লালারচক সীমান্ত এলাকায় একটি দালালচক্রের মাধ্যমে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে। ত্রিপুরা রাজ্যের ইরানি থানার কালেরকান্দি সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ এলোপাতাড়ি গুলি চালালে স্বর্ণা নিহত হয়। এতে তার মা সঞ্জিতা রানীসহ আরও কয়েকজন আহত হন।
২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে বিএসএফ ও বিজিবির পতাকা বৈঠকের পরে লাশ বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ভারতীয় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হয় স্বর্ণা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যের গুলিতে নিহত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৪
এসএএইচ