ঢাকা, সোমবার, ২৪ চৈত্র ১৪৩১, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সরকারি কর্মকর্তার পরিচয়ে আউটসোর্সিং কাজের নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ২

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৫
সরকারি কর্মকর্তার পরিচয়ে আউটসোর্সিং কাজের নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ২

ঢাকা: রাজধানীতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) একটি প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পুলিশের পরিচয়ে আউটসোর্সিং কাজ দেওয়ার নামে প্রতারণা করে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করত।

গ্রেপ্তাররা হলেন— সুকান্ত বিশ্বাস (২৪) ও মানন বৈদ্য (২৩)।

সোমবার (৭ এপ্রিল) সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) লালবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে অপরাধ কাজে ব্যবহৃত ৬টি মোবাইল ফোন এবং ১৪টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশ ও সরকারের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পরিচয়ে বিভিন্ন লোকজনকে অনলাইনে আউটসোর্সিং কাজ দেওয়ার নামে প্রতারণা করছিল। তারা অর্থ আদায় করার জন্য ফাঁদ পাতত।

গত শুক্রবার রাজধানীর পল্টন থানায় এক ভুক্তভোগী প্রতারণার শিকার হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। বাদী তার মামলার এজাহারে জানান, মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় তিনি মাঝেমধ্যে আউটসোর্সিং কাজের বিজ্ঞাপন দেখতেন। বাড়তি আয় করার আশায় তিনি অনলাইনে খোঁজ শুরু করেন। একদিন তার টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পার্টটাইম কাজের একটি মেসেজ আসে। মেসেজের মাধ্যমে তাকে টেলিগ্রামের একটি গ্রুপে যোগ করা হয়, যেখানে আরও অনেক সদস্য ছিলেন।

গ্রুপে, তাকে কাজ শেখার জন্য ১০ হাজার টাকা ফি (ডিপোজিট) প্রদান করতে বলা হয়। বাদী তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠালে, প্রতারক চক্রটি তাকে ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলে দেয় এবং কাজের কিছু নির্দেশনা প্রদান করে। কিন্তু কাজের পর, যখন বাদী তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য পেতে কথা বলতে চান, চক্রটি তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

বাদী পরে তার কিছু বন্ধু ও পরিচিতজনদের সঙ্গে আলোচনা করে জানতে পারেন, এই ধরনের টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারের গ্রুপের মাধ্যমে অনেকে আউটসোর্সিং কাজের জন্য টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

এ বিষয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২৫
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।