বুধবার ( জানুয়ারি ১১) সকাল দশটার দিকে রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোডে দাঁড়িয়ে থাকা নূর-এ মক্কা বাসের হেলপার ইউসুফ আলীর সাথে রোজিনা রোজী নামের এক কর্মজীবী নারীর কথোপকথনের চিত্র এটি।
চিড়িয়াখানা হতে কালশী উড়াল সেতু হয়ে যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়াগামী বাসটির ন্যূনতম ভাড়া ২৫ টাকা।
রাজধানীর মিরপুর থেকে কালশী রোড হয়ে নূর-এ মক্কা, আকিক, জাবালে নূর, রবরব অছিমসহ চলাচলরত যাত্রীবাহী বাস গুলশান, লিংকরোড, যাত্রাবাড়িসহ বিভিন্ন রোডে চলাচল করে। এই বাসগুলোর সর্বনিম্ন ভাড়া হচ্ছে ২৫ টাকা। সেবার নামে এই বাসগুলো রীতিমত বাণিজ্যে নেমেছে। এত বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
রোজিনা রোজী নামের ওই নারীর অভিযোগ, এই বাসগুলো সেবার নামে বাণিজ্যে নেমেছে। তারা রীতিমত মানুষের পকেট কাটা শুরু করেছে। অনেকে ভাড়া না জেনে বাসে উঠে বিপাকে পড়েন। যেখানেই নামেন ২৫ টাকা দিতে হয়। এছাড়া দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয় তারা।
তিনি জানান, আপনি দেখেন, মিরপুর থেকে ফার্মগেট হয়ে যে বিহঙ্গের সিটিং বাসগুলো মতিঝিলসহ বিভিন্ন রোডে চলাচল করে তাদের কম দূরত্বের ভাড়া ১০ টাকা। কিন্তু এই বাসগুলোর ভাড়া সর্বনিম্ন ২৫ টাকা। এটা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা রীতিমত অন্যায়। বাসের মালিকেরা সেবার নামে বাণিজ্য করছে।
নূর-এ মক্কা গাড়ির ড্রাইভার মানিক মিয়া ও হেলপার ইউসুফ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা তো ভাড়া কমাতে পারবো না। আমরা গাড়ির মালিকের চাকরি করি। আমাদের যে ভাবে বলা হয়েছে সে ভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
শুধু রোজী না বাসের ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে রবরব পরিবহনের যাত্রী মবিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রতিদিন লিংকরোড থেকে আকিক পরিবহনের বাসে ইসিবি মোড় নামি। ভাড়া দিতে হয় ২৫ টাকা। অন্য সিটিং বাস হলে যেখানে ভাড়া লাগতো ১০টাকা।
আকিক পরিবহনের আরেক যাত্রী আতিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাসা ইসিবি মোড়। আমি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবসম্পদ বিভাগে কর্মরত রয়েছি। আমি আকিকে চলাচল করি। ইসিবি থেকে বসুন্ধরা গেটে নামলেও ২৫ টাকা ভাড়া দিয়ে হয়। এটা গলায় ছুরি দিয়ে টাকা নেওয়ার মতো। এই বাসে চলাচলরত যাত্রীরা বাস মালিকদের কাছে জিম্মি বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, এটাই শেষ না। দাঁড়িয়েও যাত্রী নিয়ে থাকে সিটিং নামধারী এই বাসগুলো। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েতুল্যাহ বাংলানিউজকে বলেন, বাসের ড্রাইভার ও হেলপার যদি এই অনিয়ম করে থাকে তবে সেটা অবশ্যই অপরাধ। এই বিষয়গুলো দেখার জন্য বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে। এছাড়া আমরাও অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
আরএটি/আরআই