ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কুড়িগ্রামে বিজয় পতাকা উত্তোলনের স্থান সংরক্ষণের উদ্যোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
কুড়িগ্রামে বিজয় পতাকা উত্তোলনের স্থান সংরক্ষণের উদ্যোগ

কুড়িগ্রাম: ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকার তার বাহিনীকে নিয়ে পাক হানাদারমুক্ত করে কুড়িগ্রাম শহরে প্রবেশ করে ওভারহেড পানির ট্যাংকিতে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেই স্মৃতি ধরে রাখতে স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন।

স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলনের স্থানটি সংরক্ষণ ও নতুন প্রজন্মকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি জানাতে এবং স্মৃতি সংরক্ষণে একটি নামফলক স্থাপনের বিষয়ে সম্প্রতি কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কাছে একটি আবেদন করেন বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকার।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিজয় পতাকা উত্তোলনের স্থান সংরক্ষণের জন্য কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াছমিনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অপর সদস্যরা হলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ইউনিট কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু, সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার আব্দুল বাতেন সরকার, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. আমিনুল ইসলাম ও কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু।

বিজয় পতাকা উত্তোলনের স্থান সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াছমিন জানান, কমিটির চিঠি পেয়েছি। সবাই মিলে বসে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বীরপ্রতীক আব্দুল হাই সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা অমিত তেজে যুদ্ধ করে পাকিস্তান বাহিনীকে পরাজিত করে অবরুদ্ধ কুড়িগ্রামকে হানাদার মুক্ত করেছিলো। ওইদিন বিকেল ৪টায় কুড়িগ্রাম শহরে অবস্থিত সরকারি মহিলা কলেজ ও জেলা নির্বাচন কার্যালয় সংলগ্ন ওভারহেড পানির ট্যাংকের ওপর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন করে চারদিকে বিজয় বার্তা ছড়িয়ে দেন আব্দুল হাই সরকার। ২৩০ দিন পাকহানাদার বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ থাকার পর অবশেষে মুক্ত হয় কুড়িগ্রাম।

এর আগে বৃহত্তর কুড়িগ্রাম অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধারা ব্রিগেডিয়ার জসির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ষষ্ঠ মাউটেন্ড ডিভিশনের সহযোগিতায় পাকবাহিনীর ওপর প্রচণ্ড আক্রমণ চালিয়ে ১৪ নভেম্বর ভুরুঙ্গামারী, ২৮ নভেম্বর নাগেশ্বরী এবং ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব উত্তর ধরলা হানাদার মুক্ত করে। ১ ডিসেম্বর থেকে মুক্তিযোদ্ধারা চারিদিক থেকে কুড়িগ্রাম শহর ঘিরে ফেলে পাকবাহিনীর ওপর আক্রমণ শুরু করে। পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে পাকবাহিনী গুলি করতে করতে ট্রেনযোগে কুড়িগ্রাম শহর ত্যাগ করে রংপুরের দিকে পালিয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
এফইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।