ঢাকা: কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রগুলোর জনগণের পারস্পরিক ভ্রমণের মাধ্যমে এই অঞ্চলের পর্যটনশিল্প কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে একথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দৃঢ় এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় জনগণের অবদানের কথা বাংলাদেশের জনগণ সব সময়ই কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দুই বন্ধু রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে আরও সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে।
তিনি বলেন, এয়ার বাবল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর কারণে বন্ধ থাকা প্লেন যোগাযোগ পুনরায় চালুর মাধ্যমে দুই দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে। এতে দুই দেশের জনগণের যাতায়াত আরো সহজ ও আরামদায়ক হবে।
সাক্ষাৎকালে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক শক্তিশালী ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। দিন দিন এই সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হচ্ছে। শক্তিশালী সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের কল্যাণে ভূমিকা রাখবে। এয়ার বাবল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর কারণে বন্ধ থাকা প্লেন যোগাযোগ পুনরায় চালুর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের যোগাযোগ আরো বাড়বে।
এসময় তিনি আগরতলা-ঢাকা-আগরতলা ফ্লাইট চালু ও বাংলাদেশের সব এয়ারপোর্টে ডিজিটাইজেশন নিয়ে কাজ করার প্রস্তাব দেন।
কোভিড-১৯ এর কারণে সারা বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী কিছু সময়ের জন্য বাংলাদেশের বিমানবন্দর ব্যবহারকারী ভারতীয় এয়ারলাইন্সের সব সাধারণ চার্জ কমানোর অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২০
টিএম/এএ