ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মাদারীপুরে বিট পুলিশিংয়ের সুবিধা পাচ্ছে প্রান্তিক জনপদের মানুষ

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২০
মাদারীপুরে বিট পুলিশিংয়ের সুবিধা পাচ্ছে প্রান্তিক জনপদের মানুষ বিট পুলিশিং অফিস, ছবি: বাংলানিউজ

মাদারীপুর: পুলিশিসেবার নতুন সংযোজন বিট পুলিশিং কার্যক্রম। মাদারীপুর জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল স্থানে স্থাপিত হচ্ছে বিট পুলিশিং অফিস।

 এসব অফিসে বসেই বিট পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রান্তিক জনপদের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পুলিশিসেবা পৌঁছে দেওয়াই এর লক্ষ্য।  

প্রত্যন্ত এলাকা থেকে দূরবর্তী থানায় এসে যাতে পুলিশিসেবা নিতে সাধারণ মানুষকে ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে না হয়, সেদিক বিবেচনা করেই পুলিশিসেবাকে ঘরের কাছে পৌঁছে দিতে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের শুরু। নতুন এ কার্যক্রমে বেশ সাড়াও পড়েছে। প্রত্যন্ত এলাকার লোকজন সুবিধাও পাচ্ছে বলে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে।

জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষকে সেবা দিতে জেলার ৬৭টি পয়েন্টে চালু করা হয়েছে বিট পুলিশিং কার্যক্রম। নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা। জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ হাতে নিয়েছেন এ কার্যক্রম।

জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার পাঁচটি থানায় মোট ৬৭টি বিট পুলিশিং অফিস চালু হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানা এলাকায় ১৮টি, শিবচরে ১৯টি, রাজৈরে ১২টি, কালকিনিতে ১৩টি এবং ডাসার থানায় পাঁচটি বিট অফিস রয়েছে।

পাঁচ্চরের বাহাদুরপুর এলাকার সোলাইমান শেখ নামের এক ব্যক্তি জানান, তিনি পাঁচ্চর বিট পুলিশিং অফিসে এসে পুলিশিসেবা নিয়েছেন। আগে যে জন্য থানায় যেতে হতো, এখন ঘরের কাছেই সেই সেবা পাচ্ছেন।

উপজেলার কুতুবপুর এলাকার বিট পুলিশিং অফিসে সেবা নিতে আসা একাধিক ব্যক্তি বলেন, কোনো অভিযোগ দিতে আগে থানায় যেতে হতো। আর এখন বাজারে এলেই পুলিশের সেবা পাওয়া যাচ্ছে। যে কোনো পরামর্শের জন্যও আমরা সহজেই পুলিশকে কাছে পাচ্ছি।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, শিবচরে ১৯টি বিট পুলিশিং অফিস রয়েছে। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ ঘরের কাছেই পুলিশিসেবা পাচ্ছে।

মাদারীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, বিট পুলিশিংয়ের কারণে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, মাদক রোধ, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, যৌন হয়রানি, বাল্যবিবাহ রোধ, পারিবারিক দ্বন্দ্ব সংঘাত এবং স্থানীয় বিরোধ সহজে সমাধান হবে ও বন্ধ হবে।

তিনি আরো বলেন, এলাকায় বিট পুলিশিং অফিস করার কারণে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছে এবং পুলিশ ও জনগণের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ খুব সহজেই পুলিশের কাছে এসে তাদের যে কোনো বিষয়ে অভিযোগ করতে পারছেন এবং আইনি পরামর্শ নিতে পারছেন।

বাংলাদেশ সময় ১৭৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২০
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।