পাবনা: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় এক গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফজলুল হক (৩৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো দু’জন।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ফজলুলের মৃত্যু হয়।
এর আগে, বুধবার (১৪ অক্টোবর) রাতে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোরাপ আলী (৭৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাবা-ছেলের কারও মরদেহই গ্রামে এসে পৌঁছেনি। রাজশাহীতে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামে মরদেহ পৌঁছাতে রাত হতে পারে বলে নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে হামলার ঘটনায় গ্রামের প্রধান আবুজল প্রামাণিকসহ (৫৫) পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপত কর্মকর্তা মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ভাঙ্গুড়া উপজেলা খান মরিচ ইউনিয়নের দাসবেলাই গ্রামের মসজিদের পুকুর লিজ দেওয়াকে কেন্দ্র করে আব্দুল গফুর গং ও আবু জল গংদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা চলছিল। এর জের ধরে আব্দুল গফুরের পরিবারের এক নারীকে কুপ্রস্তাব দেন প্রতিপক্ষের বখাটে মফিদুল ইসলাম (৩৮)। এতে গফুর পরিবার ও স্বজনরা প্রতিবাদ করায় তারা হামলার শিকার হন।
এ ব্যাপারে রত্না খাতুন বাদী হয়ে বুধবার ভাঙ্গুড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাদী রত্না খাতুন জানান, বখাটে মফিদুল তাদের পরিবারের এক নারীকে কুপ্রস্তাব দেন এবং তার কথায় রাজি না হলে এসিড নিক্ষেপেরও হুমকি দিয়েছিলেন। গ্রামের প্রধান বেল্লাল হাজি এবং আবুজল প্রামাণিক বখাটে মফিদুলের পক্ষ নিয়ে বুধবার ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা করে। এতে রত্নার শ্বশুর গফুর প্রামাণিক, চাচা শ্বশুর তোরাপ আলী, দেবর ফজলুলহকসহ পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনসহ ১৫ ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। এরই মধ্যে দু’জনে মৃত্যু হয়েছে, আরও কয়েকজনের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন।
গত বুধবার সকালে দাসবেলাই গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ অন্তত ১৩ জন আহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২০
এসআরএস