নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নয়ানখাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক সৈয়দ পাপলু মিয়ার (৩২) বিরুদ্ধে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ওই ছাত্রীর বাবা রংপুর জেলার তারাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মামলার একমাত্র আসামি প্রভাষক সৈয়দ পাপলু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের কাঁটাদুয়ার গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাপলু ওই গ্রামের সৈয়দ আব্দুর রশিদের ছেলে।
ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত প্রভাষক নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের নয়ানখাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক। করোনাকালীন সময়ের আগে পাপলু মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি তার অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলতে বলে প্রভাষককে। পরে প্রভাষক মেয়েটির বাবার কাছে বিয়ে প্রস্তাব দেয়। মেয়ের বাবা প্রভাষককে তার অভিভাবকদের নিয়ে আসতে বলেন।
এ অবস্থায় প্রভাষক মেয়েটিকে প্রাইভেট পড়ানোর জন্য তার বাসায় নিয়মিত আসতে বলেন। কলেজ বন্ধ থাকায় মেয়েটি অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গিয়ে প্রাইভেট পড়তো। গত ৫ মে সকালে মেয়েটি প্রাইভেট পড়তে গিয়ে দেখে সে ছাড়া আর কোনো শিক্ষার্থী পড়তে আসেনি। এ সময় প্রভাষক তাকে অচিরেই বিয়ে করবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনা মেয়েটি তার অভিভাবকদের জানায়। পরে ওই প্রভাষককে মেয়েটির অভিভাবকরা দ্রুত বিয়ে করার জন্য অনুরোধ করেন। কণ করোনা সংকট স্বাভাবিক হলে বিয়ে করবে বলে সময় পার করতে থাকেন প্রভাষক। পরে হঠাৎ তার নিজ বাড়ি পীরগঞ্জে চলে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। বিভিন্ন প্রভাবশালীদের হুমকি-ধমকিতে এতোদিন তারা মামলা করার সাহস পায়নি বলেও জানায় মেয়েটির পরিবার।
ওসি ইসমাইল বাংলানিউজকে বলেন, ওই মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আদালতের মাধ্যমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি গ্রেফতার আসামিকেও আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২০
কেএআর