বরিশাল: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের কারণে বরিশালে টানা মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) ভোর থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হলেও বিকেলের দিকে তা বন্ধ হয়ে যায়।
বৃষ্টিপাতের কারণে নগরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নগরজীবন। এছাড়া বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
এদিকে বৈরী আবহাওয়া ও নদীবন্দরে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকায় বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃপক্ষ। যদিও বৃষ্টির কারণে বাসসহ কোনো ধরনের গণপরিবহনেই যাত্রীদের চাপ তেমন একটা লক্ষ্য করা যায়নি। তবে বৃষ্টির কারণে পূজা মণ্ডপগুলোতে মানুষের উপস্থিতি তেমন লক্ষ্য করা যায়নি।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে একটানা মুষলধারায় বৃষ্টি হওয়ায় এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বরিশালে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তবে স্বাভাবিক রয়েছে বাতাসের গতিবেগ। আজ সারাদিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া আবুপুরের নয়াভাঙ্গলী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ও ভোলার খেয়াঘাট সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আর সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী বরিশালের পার্শবর্তী ঝালকাঠি জেলায় ১৭৭ মিলিমিটার, ভোলায় ১৭৫ মিলিমিটার, বরগুনায় ২৩৫ মিলিমিটার, পিরোজপুরে ১২০ মিলিমিটার, পটুয়াখালীতে ১৫৪ মিলিমিটার এবং সাগর তীরবর্তী খেপুপারায় ২২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২০
এমএস/আরআইএস