বরিশাল: চুক্তির পর অপারেশন শেষে অতিরিক্ত অর্থ দাবি ও আগের দেওয়া টাকার রশিদ চাওয়ায় বহিরাগতদের দিয়ে বরিশালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের একজন সহকারী প্রকৌশলীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে নগরের জীবনানন্দ দাশ সড়কের সাউথ বেঙ্গল ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার সহকারী প্রকৌশলীর ভাগিনা ও রোগী মো. সুমন গাজী বলেন, শারীরিক একটি সমস্যার কারণে স্বজনদের নিয়ে ডা. হাবিবুর রহমানের কাছে আসি। ওই চিকিৎসকের সঙ্গে ৩৫ হাজার টাকার চুক্তি করে প্লাস্টিক সার্জারি করাতে রাজি হই। এরপর চিকিৎসকের দেওয়া পরামর্শে ২১ দিন শেষে সোমবার আবারো আসি। এসময় ওই চিকিৎসক আবারো নতুন করে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন, কিন্তু তার চুক্তি করা টাকা আগেই পরিশোধ করা হয়। এ নিয়ে দ্বন্দ্বে মঙ্গলবার আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ভাগিনাকে ভর্তি করানোর সময় যে টাকা নিয়েছে তার কোনো রশিদ দেয়নি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। পুনরায় টাকা চাওয়া হলে আগের টাকা দেওয়ার রশিদ আমরা চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে চাই। কিন্তু এতে চিকিৎসক ক্ষিপ্ত হয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আসেন। তিনজন বহিরাগত এসে আমার ওপর হামলা চালায়। তখন অন্য রোগীর স্বজনরা আমাকে রক্ষা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. হাসান জানান, বহিরাগত ২/৩ জন যুবক এসে সহকারী প্রকৌশলীর গায়ে হাত দিলে তিনি ছাড়াতে যান। এসময় তিনিও আঘাতপ্রাপ্ত হন।
সাউথ বেঙ্গল ক্লিনিকের ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, প্লাস্টিক সার্জারির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় ওই রোগী আমার কাছে আসেন। অপারেশন করার আগেই একটি কাজের জন্য আমি ৩৫ হাজার টাকা আর পরবর্তীসময়ে সেপারেট করার জন্য আরো ১০ হাজার টাকা লাগবে বলে জানাই। তখন রোগী কিছু টাকা কমানোর জন্য বললে আমি দুই হাজার টাকা কমিয়ে দেই এবং কেবিন নিলে তার টাকা আলাদা দেওয়ার জন্য বলে দেই। এ নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে মঙ্গলবার উচ্চবাচ্য হয়। এসময় প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে তার শার্টের দু’টি বোতাম ছিঁড়ে যায়। তবে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি। মারলে আমার পিঠেও পড়তো, কারণ আমিতো ছাড়াতে গিয়েছিলাম।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২০
এমএস/এএ