ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা হতো নির্দিষ্ট মোবাইলফোন-নম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২০
ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা হতো নির্দিষ্ট মোবাইলফোন-নম্বর আটক ডাকাতরা।

ঢাকা: সাভারের আমিনবাজারে ইতালি প্রবাসীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে অর্থলুটের ঘটনায় ডাকাত দলের তিন সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৪)।

শনিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে র‌্যাব জানায়, ডাকাতির সময় ওই দলটি নির্দিষ্ট মোবাইলফোন ও নম্বর ব্যবহার করতো।

ডাকাতি শেষে তাদের মোবাইল, সিমকার্ড ও ব্যবহৃত জামা-কাপড় পুড়িয়ে ফেলা হতো।

দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।

এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন-মোস্তাফিজুর রহমান (৩৮), নাসির (৩৮) ও আবদুল বারেক সিকদার (৪৫)। এ সময় তাদের কাছে থেকে একটি প্রাইভেটকার, দুইটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার, ১২ রাউন্ড গুলি, একটি ছুরি, দুইটি লোহার পাইপ ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, গত ২৮ অক্টোবর সকালে ইতালি প্রবাসী মো. আমানুল্লাহ (৪০) স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আমিনবাজারের একটি ব্যাংক থেকে কিছু টাকা উত্তোলন করেন। এরপর বাড়ি ফেরার পথে ভাকুর্তা লোহারব্রিজের কাছে ৩টি মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারে একটি ডাকাত দল তাদের ঘিরে ধরে। এ সময় ডাকাত দল ভুক্তভোগীর গাড়ি গতিরোধ করে এলোপাথাড়ি গুলি করে এবং ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, ক্লুলেস এ ঘটনার সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটি গ্রেফতারে মাঠে নামে র‌্যাব-৪। তদন্তের শুরু থেকেই ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ক্যাপ পরা এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করে। সেই সূত্র ধরে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) মাঝরাতে ডাকাত দলের তিনজনকে আটক করা হয়। তবে এ সময় আরও ছয় থেকে সাতজন ডাকাত পালিয়ে যায়।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ডাকাত দলের প্রত্যেক সদস্যের একটি করে ছদ্মনাম থাকে। এ দলের অন্যতম সদস্য ব্যাংকে সেদিন ক্যাপ পরা অবস্থায় ছিল। আটক বারেক সিকদার মূলত ছিলেন ডাকাতদের অস্ত্র ও ছিনতাই করা টাকা বহন করার কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারচালক। তারা ডাকাতির সময় নির্দিষ্ট মোবাইলফোন নম্বর ব্যবহার করতো। ডাকাতি শেষে তাদের মোবাইল, সিমকার্ড ও জামা-কাপড় পুড়িয়ে ফেলতো।

‘ডাকাতি শেষে ডাকাত দলের প্রতিটি সদস্য আগে থেকে ঠিক করে রাখা নির্জন স্থানে মিলিত হয় এবং সেখানে তাদের মোবাইল, সিম ও জামা-কাপড় পুড়িয়ে ফেলে। এরপর তারা কয়েকদিনের জন্য গা ঢাকা দিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এবং কোনো এক সময় আবারও তাদের মূলহোতার নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী একইভাবে ডাকাতি কর্মকাণ্ড চালায়। ’

আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ও ডাকাতির প্রস্তুতি ধারায় দু’টি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ডাকাত চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও এসময় জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২০
পিএম/এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।