ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্যের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্যের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ঢাকা: জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য মো. বদিউল আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে দুদক সজেকা ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি কর্তৃক মিরপুর সেকশন নং ০৮, ব্লক নং-খ, রোড নং-০৩, প্লট নং-২৪ জমির পরিমাণ দুই কাঠার প্লটের বিকল্প প্লট হিসেবে সেকশন ৬, প্লট নং ১১/১, এভেনিউ নং-০৫, ব্লক-বি, জমির পরিমাণ ২ দশমিক ৬৬ কাঠার প্লটটি অপরাধমূলক অসদাচারণ ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে দখলপূর্বক স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে ১৯৪৭ সালের ২ নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪ (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

ঘটনার বিবরণে আরও বলা হয়, সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর, গৃহ সংস্থান অধিদপ্তর, সেগুনবাগিচা, ঢাকা থেকে ফজলুল হক চৌধুরীর নামে মিরপুর হাউজিং এস্টেটের সম্প্রসারিত রুপনগর আবাসিক এলাকায় স্মারক  ৩৩৬০, তাং ৩০/০৬/১৯৯৪ মূলে মিরপুর সেকশন-৮, ব্লক-বি, রোড নং-৩, প্লট নং-২৪, জমির পরিমাণ ২ কাঠা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ফজলুল হক চৌধুরী ৪ কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করেন। ওই টাকা পরিশোধের পর ফজলুল হক চৌধুরী ১৯৯৬ সালের ৩ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। ফজলুল হক চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশরা নুর জাহান বেগম (স্ত্রী), চৌধুরী আজিজুল হক (ছেলে),  চৌধুরী আমিনুল হক (ছেলে), চৌধুরী  মোজাম্মেল হক (ছেলে), হোসনেয়ারা জামান (মেয়ে), ফাতেমা বেগম  (মেয়ে) ও পারভীন আক্তার চৌধুরী (মেয়ে) ওয়ারিশ সূত্রে উক্ত প্লটের মালিক হন।

ফজলুল হক চৌধুরীর নামে প্লটটির দখল বুঝিয়ে না দেওয়ায় তার ওয়ারিশরা তাদের নামে অন্য আরেকটি প্লট বরাদ্দ দেওয়ার জন্য গত ২০০৫ সালের ১৯ মে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন। আসামি বদিউল আলম অত্যন্ত সুকৌশলে/পর্দার অন্তরালে থেকে প্লটটি হাতিয়ে নেওয়ার মানসিকতায় মাসুদ করিম (আমমোক্তার গ্রহীতা) তার আপন মেঝ ভগ্নিপতির সঙ্গে ফজলুল হক চৌধুরীর ওয়ারিশদের পরিচয় করিয়ে দেন। আসামি বদিউল আলমের অদৃশ্য ইশারায় এই জমির রক্ষণাবেক্ষণ ও সব ধরনের কার্যক্রম গ্রহণের জন্য মিরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আম মোক্তার দলিল মূলে মো. মাসুম করিমকে আম মোক্তার নিযুক্ত করেন।

অনুসন্ধানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ফজলুল হক চৌধুরীর ওয়ারিশরা কর্তৃক নিযুক্ত আমমোক্তার মো. মাসুম করিম (বদিউল আলমের আপন মেঝ ভগ্নিপতি) পুনঃবরাদ্দ প্রাপ্ত বদিউল আলমের কাছে বিক্রি করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
ডিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।