ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সরকারি ক্রয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
‘প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সরকারি ক্রয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি’

ঢাকা: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সরকারি ক্রয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী।

প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন হলে দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে ও দারিদ্র্য নিরসন হবে।

সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারও বাড়বে। আর প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়নে সরকারি ক্রয়ের ভূমিকা ব্যাপক। প্রতিবছর এ খাতে ব্যয়ও বাড়ছে। তাই সরকারি ক্রয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে রোববার (১৫ নভেম্বর) মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত গভর্নমেন্ট-টেন্ডারার ফোরামের (জিটিএফ) কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী। সিপিটিইউর উপপরিচালক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনও কর্মশালায় বক্তব্য দেন।

কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামের (বিসিসিপি) সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর খাদিজা বিলকিস।

এছাড়া কর্মশালায় সিপিটিইউর ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্টের (ডিআইএমএপিপিপি) আওতায় সিপিটিইউর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বিসিসিপির সহায়তায় কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়। সরকারি ক্রয়কারী অফিসের কর্মকর্তা, মুন্সিগঞ্জের দরদাতা, ব্যাংক কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আইএমইডি সচিব বলেন, ‘ক্রয়ের আইন ও বিধির সঠিক প্রতিপালন এবং তা দক্ষতার সঙ্গে সময়মতো করতে পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। সেজন্য ক্রেতা ও দরদাতার মধ্যে একটি পারস্পরিক আস্থা ও বিধির আলোকে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা জরুরি। ক্রয়চুক্তির সুষ্ঠু ও মানসম্মত বাস্তবায়নে এই দুই পক্ষের সমান দায়িত্ব রয়েছে। ’ 

শোহেলের রহমান চৌধুরী বলেন, গত ১০ বছরে আমরা সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে ব্যাপক সংস্কার বাস্তবায়ন করেছি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সরকারি ক্রয়ের ডিজিটাইজেশন যাকে আমরা ই-জিপি বলছি। ই-জিপির ফলে সরকারি ক্রয়ে দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বেড়েছে। তবে চ্যালেঞ্জও রয়েছে।

জিটিএফ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি দরদাতা ও ক্রয়কারীর একটি দ্বিপাক্ষিক প্লাটফর্ম। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে- স্থানীয় পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পেশাদার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং একটি টেকসই ক্রয় পরিবেশ তৈরি করা। দেশের ৬৪ জেলায় জিটিএফের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
এমআইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ