ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাড়ছে শীত, সৈয়দপুরে পুরনো কাপড়ের দোকানে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২০
বাড়ছে শীত, সৈয়দপুরে পুরনো কাপড়ের দোকানে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড় সৈয়দপুরে পুরনো কাপড়ের দোকানে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ভোরে ও রাতে কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে জনপদ।

শীতের কারণে সব শ্রেণির মানুষ ভিড় করছেন এখন শীতের কাপড়ের দোকানে। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেট গুলোতেও গরম কাপড়ের চাহিদা এখন তুঙ্গে। তবে ভিড় বেশি ফুটপাতের পুরনো শীতবস্ত্রের দোকানেই। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন সৈয়দপুরের এসব মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিম্ন আয়ের মানুষরা ভিড় করছেন ফুটপাতের এসব দোকানে। কয়েকদিন থেকে তাই ফুটপাতের দোকানগুলোয় গরিব ও নিম্নবিত্ত মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। সাধ্য অনুযায়ী কিনছেন শীতবস্ত্র।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীত নিবারণে গরিব-ধনী সবাই ছুটছেন পুরোনো গরম কাপড়ের দোকানে। আর এ পুরনো গরম কাপড়ের দোকান বসছে সৈয়দপুর রেললাইনের ধার ঘেঁষে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বড় রেলঘুন্টি পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক মৌসুমি এসব দোকান। বসে প্রতি শীতের শুরু বসেন তারা। এসব ফুটপাতের প্রতিটি দোকানই এখন শীতের পোশাকে ঠাসা। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা দরের মধ্যে শীতবস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। পাশে মার্কেট থাকলেও কম দামের কারণে পুরাতন কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের আগ্রহ যেন একটু বেশি। কী নেই এসব ফুটপাতের দোকানে মেয়েদের জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি, ব্লেজার, লেদার জ্যাকেট, হাফ সোয়েটার সবকিছু রয়েছে দোকানগুলোতে।
  
এ ছাড়া পুরোনো কাপড়ের মোকাম হচ্ছে সৈয়দপুর রেলওয়ে বাজার ও রেলওয়ে কারখানা গেটবাজার। এসব দোকানে কম দামে বিদেশি পুরনো গরম কাপড় মিলছে। দামে কিছুটা সস্তা হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভিড় করছেন দোকানগুলোতে। এসব বাজারের দোকানে শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক লোকদেরও কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। দাম হাতের নাগালে থাকায় ক্রেতার ভিড় থাকে অনেক বেশি। এসব দোকানে এর আগে ছুটে আসতেন অসহায় ও গরিব মানুষেরা। তবে এখন ধনী-গরিব সবাই ছুটছে  দোকানগুলোতে।

শুধু ক্রেতাই নয়। এখানকার পুরনো কাপড়ের পাইকাররা বাছাই ও গাইট কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। ফলে এ ব্যবসার সঙ্গে সৈয়দপুরের অনেক মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছেন। পুরনো এসব গরম কাপড় কেউ পাইকারি আবার কেউ হাতে নিয়ে বিক্রি করছেন। গ্রামাঞ্চলে রিকশাভ্যান ও ব্যাগে করে ফেরি করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করছেন।

পুরনো কাপড়ের দোকানে কাপড় কিনতে আসা বাঁশবাড়ীর সুরাইয়া বেওয়া বাংলানিউজকে বলেন, সব ধরনের কাপড় এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। তবে এবারে দাম একটু বেশি বলে মনে হচ্ছে।

বিক্রেতা আরজু বাংলানিউজকে জানান, গতবারের চেয়ে এবার দাম বেশি কারণ প্রতিটি গাইটে গড়ে তিন হাজার করে দাম বেড়েছে। যে জ্যাকেটের গাইট আট হাজার ছিলো সেটি আনতে হচ্ছে এখন ১১ হাজার টাকায়। অনুরূপ সুয়েটারের গাইট পাঁচ হাজার থেকে এখন আট হাজার, বেবী সাত হাজার থেকে এখন ১০ হাজার, গেঞ্জি পাঁচ হাজার থেকে এখন সাত হাজার টাকায় আমরা কিনেছি বলে খুচরাতেও বাড়তি দাম।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২০
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।