ঢাকা, রবিবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ জুন ২০২৪, ১৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

গ্রন্থাগারিকদের শিক্ষকের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ করেসপনডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
গ্রন্থাগারিকদের শিক্ষকের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী ছবি: শাকিল আহমেদ 

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গ্রন্থাগারিকদের দীর্ঘদিনের একটি দাবি ছিল যে, তাদের শিক্ষকের মর্যাদা দেওয়া হোক। এ বিষয়ে গত ৩১ মে জারি করা এমপিও নীতিমালায় বলা হয়েছে, স্কুল-কলেজ এমপিও নীতিমালায় কলেজের গ্রন্থাগারিক পদটিকে প্রভাষক (গ্রন্থাগার) পদের মর্যদা প্রদান করা হয়েছে।

আর সহকারী গ্রন্থাগারিক পদটিকে সহকারী শিক্ষকের (গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান) সমান মর্যদা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে এলআইএস পেশাদারদের ভূমিকার ওপর আন্তর্জাতিক সম্মেলন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী একথা জানান। সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি।

সম্মেলনে অনলাইনে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ডা. দীপু মনি।

এসময় তিনি বলেন, প্রাথমিক থেকে শুরু করে সব শিক্ষাস্তরে গ্রন্থাগার চালুর বিষয়টি আমাদের শিক্ষানীতিতে রয়েছে। আমাদের জাতীয় লক্ষ্য হবে সারা দেশে গ্রন্থাগার স্থাপন করা। যেন একটি বই পেতে কাউকে তার নিজ বাসস্থান থেকে এক মাইলের বেশি যেতে না হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গ্রন্থাগারের উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। গ্রন্থাগারিকদের জন্য বহুমুখী সুবিধা চালু হবে। গ্রন্থাগারের উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রমে গ্রন্থাগারের প্রতি সরকারের সদিচ্ছা প্রকাশ পাচ্ছে। আমাদের প্রজন্ম যেন শিশু-কিশোর বয়স থেকেই গ্রন্থাগারের মাধ্যমে সৃজনশীল হয়ে গড়ে উঠতে পারে, উন্নত জাতি গঠনে ভূমিকা রাখে, সেই বিষটি সামনে রেখেই সরকারের কার্যক্রম চলেছে।

আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়েও যেন লাইব্রেরি করা হয়, সে বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া এগুলো যেন ডিজিটাল হয়, সে বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই সবাই যেন লাইব্রেরির সান্নিধ্যে থাকে। এজন্য দেশব্যাপী গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হবে এবং এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীও বলেছেন। আমরা আশা করি দেশের প্রতি এক মাইল দূরত্বে একটি করে গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হবে। আর আমাদের গ্রন্থাগারিকদের আরও প্রশিক্ষিত হতে হবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে। আমি মনে করি আপনাদের যে প্রাপ্যতা ছিল, তা পাওয়ার জন্য যেমন সংগ্রাম করেছেন এবং করছেন, ঠিক তেমনি উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের আরও উন্নত করা।

বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতির (ল্যাব) সভাপতি মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কি-নোট উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দিন। বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সদস্য অধ্যাপক নাসির উদ্দিন মুন্সিসহ বিশিষ্টজনেরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
এইচএমএস/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।