ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘বঙ্গবন্ধু ব্রি-১০০’ ধান চাষে ঝুঁকছেন কচুয়ার কৃষক

মো. মাসুদ আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২২
‘বঙ্গবন্ধু ব্রি-১০০’ ধান চাষে ঝুঁকছেন কচুয়ার কৃষক

চাঁদপুর: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন আবিষ্কার ‘বঙ্গবন্ধু ব্রি-১০০’ ধান এখন শোভা পাচ্ছে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বোরো ক্ষেতগুলোতে। কেউ ব্যক্তিগত আবার কেউ বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে এ ধানের আবাদ করেছেন।

ভালো ফলনের আশায় এ ধানের আবাদ নিয়ে রঙিন স্বপ্ন চাষিদের চোখে।  

কৃষিবিভাগ ও বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বলছে, এতে রোগবালাই ও পোকামাকড় আক্রমণের পরিমাণ কম হওয়ায় অনেক কৃষকই ঝুঁকবেন এই ধান আবাদে।

কচুয়া উপজেলায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে প্রদর্শনী বাস্তবায়নে পরীক্ষামূলক চাষাবাদ করার লক্ষ্যে হাশিমপুর গ্রামে কৃষক আব্দুস সালাম প্রায় ৩৩ শতক জমিতে এই ধান আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস। ওই ৩৩ শতক জমিতে ‘বঙ্গবন্ধু ব্রি-১০০’ জাতের ধানের প্রদর্শনী প্লট করেছে উপজেলা কৃষিবিভাগ।

কৃষক মো. আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, এই ব্লকে কৃষিবিভাগ সার, বীজ ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করছে। রোগবালাই ও পোকামাকড় আক্রমণের পরিমাণ কম হওয়ায় বঙ্গবন্ধু ব্রি-১০০ ধান আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক কৃষক।  

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতের ধানের ফলন বিঘায় ৩০ থেকে ৩৪ মণ। এবার বীজ ও সার পেয়েছি। আশা আছে সামনের বার এ ধান চাষ আরও বেশি করে আবাদ করব।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু ১০০ ধানের জীবনকাল ১৪৮ দিন, যা ব্রি ধান-৭৪’র প্রায় সমান। গড় ফলন ৭ দশমিক ৭ টন প্রতি হেক্টর। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে অনুকূল পরিবেশে হেক্টর প্রতি ৮ দশমিক ৮ টন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে। এ বছর কচুয়াতে পরীক্ষামূলক হাশিমপুর ব্লকে প্রায় ৩৩ শতাংশ জমিতে বঙ্গবন্ধু ধান ১০০-এর চাষাবাদ করা হয়েছে।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. সোফাফেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, জিংক সমৃদ্ধ এই ধান মানবদেহে জিংকের অভাব পূরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। চাল মাঝারি চিকন ও সাদা। জিংকের পরিমাণ প্রতি কেজিতে ২৫ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম। চালে অ্যামাইলোজ ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ এবং প্রোটিন ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। অনেক চাষিরা তার কাছ থেকে আগামী বছর থেকেই বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন। অনেক চাষি এরই মধ্যে বীজ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।