ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মাটি খুঁড়তেই পাওয়া গেল ব্রিটিশ আমলের রৌপ্য মুদ্রা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২২
মাটি খুঁড়তেই পাওয়া গেল ব্রিটিশ আমলের রৌপ্য মুদ্রা

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভা এলাকার গন্ধর্বপুর গ্রামে বাড়ি বানানোর জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে একটি পাতিল থেকে ৯৮ পিস রৌপ্য মুদ্রা পেয়েছে শ্রমিকরা।

সোমবার (৬ জুন) সকালে এ ঘটনার পর বাড়ির মালিক ও স্থানীয়রা রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে ওই মুদ্রা নিয়ে যায় তারা।

গন্ধর্বপুর গ্রামের বাসিন্দা তালাত মাহমুদ নয়ন বলেন, তারা মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া তার উঠানে নতুন পাকা বাড়ি নির্মাণের জন্য মাটি কাটার শ্রমিক দিয়ে  কাজ করাচ্ছিলেন। এ সময় ৬ জুন সকাল ৮টার দিকে মাটি থেকে মাত্র ১ ফুট গভীরে কোদাল দিয়ে কোপ দিলে একটি পুরাতন মাটির পাত্র ফেটে যায়। পরে স্থানীয় শ্রমিক ওয়াজিবসহ আরও তিনজন ওই মাটির পাত্র ভেঙে দেখতে পান পুরাতন মুদ্রা। পরে বাড়ির মালিক ও স্থানীয়রা রূপগঞ্জ থানার পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মুদ্রাগুলো থানায় নিয়ে যায়।

এদিকে মুদ্রা উদ্ধার করার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দারা জানান, আজাদ মিয়ার বাড়ির যেখানে এ মুদ্রা পাওয়া গেছে সেখানে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত পুরাতন একটি কাঠ কৌড়ি ঘর ছিল। যে ঘরে ১৯৪৭ সালের দেশভাগের আগে থেকে মুড়াপাড়ার জমিদার বাবু জগদিশ চন্দ্র ব্যানার্জির নিয়োজিত নায়েব মবুল্লাহ প্রধান বসবাস করতেন। পরবর্তীতে এ বাড়িটি তোতা মিয়া মাতবরের বাড়ি হিসেবেই সবাই চেনে।

স্থানীয় বাসিন্দা হাছান মিয়া বলেন, এ মুদ্রা ব্রিটিশ আমলের হওয়ায় আলোচনায় এসেছে। সে সময়ের এ বাড়িতে বসবাসকারী লোকজন বর্তমানে মাটির ব্যাংকের মতো হয়তো ওই মুদ্রাগুলো জমিয়েছিলেন। পরবর্তিতে এর খোঁজ নেননি। তাই এখন তার সন্ধান পাওয়া গেছে।

রূপগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল করিম মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৯৮ পিস পৃথক সালের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মুদ্রার মধ্যে ১৯০৬ এবং ১৯১৩ সালের ইন্ডিয়ান রুপি ছিল। যা রৌপ্য মুদ্রা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, মাটি খুঁড়লে আরও নতুন মুদ্রা পাওয়া যাবে কী না তা বলতে পারছি না। যেহেতু এটি ব্যক্তিগত বাড়ি সেহেতু আপাতত কিছু বলা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২২
এমআরপি/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।