ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে এক গৃহবধূর সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করেন মো. রফিক মোল্যা (৪০)। কিন্তু পরে তিনি আর বিয়ে না করায় বোয়ালমারী তার নামে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূ।
শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে বোয়ালমারীর ডহরনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কবির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্ত মো. রফিক মোল্যা উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের মোড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বুধবার (২০ জুলাই) রফিক মোল্যার নামে বোয়ালমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি বর্তমানে তিনি তদন্ত করছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূর দুই সন্তান রয়েছে। স্বামীর সঙ্গে সু-সম্পর্ক থাকায় রফিক মোল্যা দীর্ঘদিন তাদের বাড়িতে যাওয়া আসা করতেন। এর মাধ্যমে তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। গত দুই বছর আগে ওই গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে রফিক মোল্যা ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রুপাপাতে বাসা ভাড়া করে বিয়ে না করেই বসবাস করেন। বিগত ৬ মাস আগে রফিক মোল্যা ফের ওই গৃহবধূকে সহস্রাইলে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন এবং বিয়ে ছাড়াই অবৈধ ভাবে মেলামেশা করতে থাকেন।
এ অবস্থায় গত ১৭ জুলাই রফিক মোল্যাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখান।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, রফিক মোল্যা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই গূহবধূর কাছ থেকে এ পর্যন্ত নগদ ৩ লাখ টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণ নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রফিক মোল্যা বলেন, তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে।
আর অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. কবির হোসেন বলেন, রফিক মোল্যার নামে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ২২ জুলাই, ২০২২
এমএমজেড