ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাজনীতির দার্শনিক: আইনমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২২
বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাজনীতির দার্শনিক: আইনমন্ত্রী

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতির একজন দার্শনিক ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।  

রোববার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র‍্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শনঃ একুশ শতকের প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এক মিশ্র সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু একজন নেতাই ছিলেন না, তিনি রাজনীতির দার্শনিক। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও তার দর্শন তাকে হত্যা করে শেষ করা যায় নি। তার আদর্শ এখনো আমাদের মধ্যে টিকে আছে। তার চিন্তা ও দর্শনে ছিল বাংলাদেশের উন্নয়ন। তিনি বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র ও দুর্নীতিমুক্ত করতে চেয়েছিলেন।
 
‘বঙ্গবন্ধুর সংকল্প, দূরদৃষ্টি, সাহসিকতার ফলেই পাকিস্তানি অত্যাচার-অবিচার থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, যা এখনো এদেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করছে। ’ যোগ করেন আইনমন্ত্রী।  

আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনীতির বাইরেও গণতন্ত্রের লড়াইয়ে সংগ্রাম করেছেন। দেশের সবচেয়ে বড় নেতা হওয়ার পরও গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদের জনকও তিনি। এর প্রমাণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা’কে জাতীয় সংগীত হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। যা, বাঙালি জাতীয়তাবাদকে প্রতিনিধিত্ব করে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসি ছিলেন। তিনি একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের মিশেলে তিনি একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করতে চেয়েছিলেন। তার সেই পরিকল্পনা নিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, এই সমাজব্যবস্থার এখনো আবেদন আছে। বর্তমান সময়েও এটি কার্যকর।

বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করে আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু তৎকালীন দ্বিমেরু বিশ্বে সফলভাবে নিরপেক্ষতার নীতি সমুন্নত রেখেছিলেন। তার এই নীতি বাংলাদেশকে ‘কোল্ড ওয়ার’ থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল।

সেমিনারে বিআইআইএসএস-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাকসুদুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন বিশ্বনেতা ছিলেন, যার আদর্শ, চিন্তাধারা, নীতি, কর্ম ও ধারাবাহিকতা শুধু বাংলাদেশেই নয়, বহির্বিশ্বেও প্রশংসা এবং গ্রহণীয়তা লাভ করেছে। জীবদ্দশায় এবং বর্তমানেও তার বিশ্বভাবনার প্রাসঙ্গিকতা একইভাবে বিদ্যমান রয়েছে।

২টি ভাগে বিভক্ত সেমিনারের প্রথম সেশনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য ড. দেলওয়ার হোসেন।  

দ্বিতীয় সেশনের সভাপতিত্ব করেন ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) পরিচালক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

নিবন্ধ উপস্থাপন করেন লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, প্রাক্তন প্রধান তথ্য কমিশনার মো. জমির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।

এই সেশন শেষে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বৈদেশিক দূতাবাসের প্রতিনিধি, সাবেক কূটনৈতিক, উর্দ্ধতন সামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২২
এমকে/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।